বর্তমানে সময়ে একটি শক্তি এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে : সজল
Published: 7th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমরা দীর্ঘ সাড়ে ১৫টি বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি করে জয়লাভ করেছি।
আমাদের দল বিএনপি সব সময় মানুষের ভোটের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আর এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওনের জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
আমাদের নেতৃ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি নব্বইতে স্বৈরাচার এরশাদ বিলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আর এই ২০২৫ সালের নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। কারণ তার মার হাত ধরে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছিল আর তার হাত ধরে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ হয়েছে।
দীর্ঘ সাড়ে পনেরোটি বছর তারেক রহমান সুদূর প্রবাস থেকেও আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলনকে সফল করেছিলেন। আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশও নাই আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এর বাইরে কারো নির্দেশনায় না।
আমাদের নেতা তারেক রহমান এদেশের গণতন্ত্রপূর্ণ উদ্ধারে আন্দোলনের সংগ্রাম করেছে ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করেছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত সদর থানা বিএনপির আওতাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ পূর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল চারটায় খানপুর বরফকল মাঠে ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে সময়ে একটি শক্তি এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা যে ভোটের জন্য সাড়ে ১৫ বছর সংগ্রাম করলাম, সেই সংগ্রামকে ধ্বংস করার জন্য কিছু কিছু কুচক্রী মহল এ ভোটের পরিবেশ কে নষ্ট করতে চাচ্ছে।
সুতরাং আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার মতন এত বড় একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি যেহেতু বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারে নাই আল্লাহর রহমতে এমন কোন শক্তি নাই যে বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারে। ইনশাল্লাহ বিএনপির রাজপথে ছিল, রাজপথেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মী তাদেরকে বিএনপি সদস্য করা হবে। তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন মিছিলে যে শেষ কর্মী টা ছিল তাদেরকেই মূল্যায়ন করতে হবে।
সুতরাং আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এই দল করতে গিয়ে যারা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে নিজের অস্তিত্বকে ভুলে যায় নাই দলকে ধরে রেখেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। তাদেরকে বিএনপি'র ফরম দেয়া হবে তারাই সদস্য হবে ।
কোনো ফ্যাসিবাদীর দোসর ও শক্তির লোককে বিএনপির সদস্য ফরম দেওয়া হবে না। আর সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন কোন রকমের সদস্য হতে না পারে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি হাবিবুর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডাঃ মজিবুর রহমান, মাহবুব উল্লাহ তপন, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির হোসেন মুকুল, সহ- সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, সহ- সভাপতি মীর ইয়ামিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম দিপু, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রেজা, প্রচার সম্পাদক সেলিম, সহ- প্রচার সম্পাদক মিঠুন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইছান উদ্দিন মাহমুদ ইচ্ছা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপন, ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা, ১১নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ১১নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি আবু হোসেন, সোহেল, মিজানুর রহমান মিজু, সুমন, রিপন, পলাশ, মানিক, রতন, রবিউল ইসলাম, নান্টু, আরিফুল ইসলাম নয়ন, রতনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন আম দ র ন ত ব এনপ র স র সদস য র রহম ন ল ইসল ম র জন য ব স কর ত দ রক দল র স
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের এনসিপি নেত্রী লুবনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সোনিয়া আক্তার লুবনা সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ভুয়া তথ্য দিয়ে ‘জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে সরকারি তালিকায় নাম দিয়েছেন, এমন অভিযোগ যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লুবনা ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইফতেখার হোসেন (সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), সাগর (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), মেহেদী হাসান প্রিন্স (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী (এক্সিকিউটিভ মেম্বার, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), আফজালুর রহমান সায়েম (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), সাইদুর রহমান শাহিদ (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), ফাতেমা আফরিন পায়েল (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), রেজা তানভীর (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), রাকিন, শামীম রেজা খান, আলিফ (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন), জাহিদ (কর্মকর্তা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন)।
তাদের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, ১১৯ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বিল্ডিং নং-২, ৪র্থতলা, ইন্টারকন্টিনাল ঢাকা হোটেল সংলগ্ন, ঢাকা।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার স্বামী বুলবুল সিকদার ও পুত্র রাকিবুল হাসান গত ২০২৪ সালের ফ্যাসীবাদ বিরোধী বিপ্লবে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড ১০ তলা মাদানী নগর মাদ্রাসার সামনে দিয়ে মটর সাইকেল যোগে যাওয়ার পথে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা ও পথচারীর উপর এলোপাথারী গুলি বর্ষন শুরু করে। এবং বাদীর স্বামী ও তার পুত্র সন্তানের উপর লাঠি, সোটা, রড, ইট, চাপাতি দিয়ে হামলা করলে বাদীর স্বামী ও তার সন্তান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
হামলায় বাদীর স্বামীর হাটুর নীচে পায়ের অংশ থেতলে যায় এবং বাদীর ছেলের পা ভেঙ্গে রগ ছিড়ে যায়। ৫ আগস্ট ফ্যাসীবাদের পতন ঘটে এবং উক্ত ফ্যাসীবাদের পতনের প্রেক্ষিতে জুলাই এর বর্ষা বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন এর জন্য জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠিত হয়।
বাদী তার স্বামীকে নিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে চলতি বছরের ২০ মার্চ সকাল ১১টায় গেলে ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ১নং আসামী ইফতেখার হোসেন বাদীর সম্মুখে তার স্বামী ভিকটিম বুলবুল সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে, আপনি কিভাবে জুলাই-এ আহত হলেন এবং আপনাকেকে পাঠাইছে।
তখন বাদী এবং তার স্বামী ১নং আসামীকে আহত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, ইতোপূর্বে তার আহত ছেলে রাকিবুল হাসান (জুলাই যোদ্ধা) এর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লক্ষ টাকার চেক উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। বাদীর স্বামী বুলবুল সিকদারের জুলাই যোদ্ধা গেজেট নম্বর ২৩৮৭ এবং মেডিক্যাল কেস আইডি ৩২৫০৬ এর কাগজ প্রদর্শন করলে ১নং আসামী, ২ ও ৩নং আসামীকে ডেকে নিয়ে আসে।
উক্ত ২ ও ৩নং আসামী ভিকটিমকে বাদীর নিকট হইতে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায় এবং বাদীকে অপেক্ষা করতে বলে। প্রায় ৩ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও ভিকটিম না আসলে বাদী তার স্বামীর মোবাইলে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন ২নং আসামী সাগর রিসিভ করে। বাদী তার স্বামীর খবর জানতে চাইলে আসামী সাগর বলে "ভুয়া জুলাই যোদ্ধা ধরেছি। এখন তার জামাই আদর চলতেছে"।
বাদীকে বলে আপনি কোথায়, বাদী বলে আমি অফিসেই আছি। তখন সাগর বাদীকে ভেতরে যেতে বলে। পরবর্তীতে বাদী ভিতরে গিয়ে আসামী সাগর, সায়েম, ইফতেখার ও আসামী সাগরের স্ত্রীকে দেখতে পায়। তারা বাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং বাদীর ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায়।
এরপর বাদীকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনারা আফরিন (৩নং সাক্ষী) কে কিভাবে চিনেন, বাদী জানায় যে, তার ছেলে রাকিবুল হাসান (জুলাই যোদ্ধা)কে ডিসি অফিসে তার ছেলেকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে দিলশাদ আফরিনের সংগে পরিচয় হয়।
বাদীকে আসামী সাগর জিজ্ঞাসা করে আপনারা কি আফরিন (মামলার ৩নং সাক্ষী)কে টাকা পয়সা দিয়েছেন কিনা? বাদী উত্তরে দিলশাদ আফরিন কে কোন টাকা দেয় নাই বললে আসামীরা বাদীকে মারধর করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য।
তখন আসামী সাগরের সাথে উপস্থিত ১৩নং আসামী জাহিদ বাদীকে গণ ধোলাই দেওয়ার জন্য উস্কানী দেয়। এবং পুলিশ দিয়ে এ্যারেস্ট করার ভয় দেখায়, এরপর আসামী সাগরের সাথে উপস্থিত জাহিদ বাদীর মুখ চেপে ধরে এবং বাদীকে, চড়, থাপ্পর মেরে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে আসামী ইফতেখার, সাগর বাদীকে চাপ দেয় দিলশাদ আফরিনকে ফোন দিয়ে আসার জন্য।
এতে বাদী রাজী না হলে আসামী সাবরিনা শ্রাবন্তী বিভিন্ন ভাবে মারধর করে। আসামীদের মারধরের কারনে বাদী ফোন করে ইতোমধ্যে ইফতার এর সময় অতিক্রান্ত হলে বাদীর স্বামীকে আবার আলাদা রুমে নিয়া যায় এবং প্রায় ৩ ঘন্টা বাদীর স্বামীকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে।
মামলার ৩নং সাক্ষী দিলশাদ আফরিন রাত প্রায় সাড়ে ১০ কি ১১টায় জুলাই ফাউন্ডেশন অর্থাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামীরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে এবং পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি প্রদানে চাপ প্রয়োগ করে।
আসামীদের এইরূপ অত্যাচার ও ভয়ভীতি প্রদর্শনে দিলশাদ আফরিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাদীর স্বামী বুলবুল সিকদার। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দিলশাদ আফরিন বুলবুল সিকদারকে পুনরায় ঘটনাস্থলে নিয়ে আসলে দিলশাদ আফরিনের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি প্রদানে বাধ্য করে আসামিরা।
বাদী তার স্বামী বুলবুল সিকদারের কাছ থেকে জানতে পারে যে, তার স্বামী বুলবুল শিকদারকে জুলাই ফাউন্ডেশন এ কর্মরত আসামী সায়েম ও সাগর অফিসের একটি রুমে নিয়ে যায় এবং তাকে একটা চেয়ারে বসায় এবং বলে এটা আমাদের টর্চার সেল, শেখ হাসিনার আয়নাঘর এর মতো বড় আয়না ঘর।
তুই স্বীকার কর তুই ভূয়া জুলাই যোদ্ধা এবং তোকে কে পাঠিয়েছে। তখন বাদীর স্বামী বুলবুল শিকদার দিলশাদ আফরিনের নাম উল্লেখ করলে আসামীরা প্রায় ৩ ঘন্টা বুলবুল শিকদারকে শারীরিক নির্যাতন করে।
আসামী সাগর ও সায়েম হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে মাথায় এলোপাথারীভাবে মারধর করে।
পরে সাগর ও ইফতেখারের সাথে আসামি প্রিন্স যোগ দেয়। পরদিন ২১ মার্চ ৬টায় এডভোকেট আল আমিন হাজির হয়ে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য বললে বাদী ও বাদীর স্বামী ভিকটিম বুলবুল শিকদার এবং সাক্ষীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তী নেয়।
আসামি এমন আচরণে বাদী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং বাদীর স্বামী আসামিদের গুরুত্বর আঘাতের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাদী ও তার স্বামী কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর মামলা দায়ের করেন।