ময়মনসিংহে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ল কাভার্ডভ্যান
Published: 16th, November 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া বাইপাস এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে একটি কাভার্ডভ্যান। শনিবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাত ১২টার দিকে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটিতে আগুন দেয় তারা।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, “রাত ৮টার দিকে চালক কাভার্ডভ্যানটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে বাড়ি চলে যান। দুষ্কৃতকারীরা রাত ১২টার দিকে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি।”
আরো পড়ুন:
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ
কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে এসব করা হচ্ছে। দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার ধিতুয়া গ্রামের পংকজ দে (১৯), চাপুরিয়া গ্রামের রোমান মিয়া (২৩) ও এমরান হোসেন (৩২)। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে চাপুরিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২৮) পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানায়, মুক্তাগাছার মানকোন ইউনিয়নের ওই কিশোরী ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাসে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে মুক্তাগাছায় নামে। পরে অটোরিকশায় করে পদুরবাড়ী বাজারে নেমে হেঁটে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। তখন অভিযুক্ত পংকজ দের সঙ্গে তার দেখা যায়। পংকজ তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি অটোরিকশায় তুলে ভিন্ন পথে চাপুরিয়া গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পংকজ ও তাঁর তিন সহযোগী রোমান মিয়া, আমির হোসেন ও এমরান মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী প্রথম আলোকে বলে, পঙ্কজ তার পূর্বপরিচিত হওয়ায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে সে রাজি হয়। কিন্তু তাকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ধর্ষণ করে ভোরে একটি মাছের খামারের সামনে ফেলে যায়। পরে সকালে লোকজন তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এদিকে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনজনকে ধরে বেঁধে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আজ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ প্রথম আলোকে বলেন, কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।