শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে গড়ে ওঠা খাবারের দোকানগুলোতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার—শিঙাড়া, সমুচা, ডালপুরি ইত্যাদি। এসব খাবার শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ক্ষুধা মেটালেও, এগুলো তৈরির সময় ব্যবহৃত পোড়া তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, অধিকাংশ দোকানেই একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়। ফলে এসব তেলে ভাজা খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পেটব্যথা, গ্যাস, গলা জ্বলাসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। কখনো কখনো এসব ঝুঁকি দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে রূপ নিচ্ছে।
বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরতির সময় অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকানে ভিড় করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দিন দিন এসব দোকানের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি ও অভিযান অত্যন্ত জরুরি। পোড়া তেল ব্যবহারের দায়ে এসব দোকানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত—প্রয়োজনে জরিমানা বা সাময়িকভাবে দোকান বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও মারাত্মক রোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এখনই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।
নুরুন্নবী সোহান
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ায় এসআই প্রত্যাহার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রোববার রাতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই সঞ্জীব পাল বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার–পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় তাঁকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
থানা–পুলিশ জানায়, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মালুমঘাট বাজার এলাকা থেকে একটি মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন এসআই সঞ্জীব পাল। সাজ্জাদ উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাহাড় এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে থানার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার সময় তাঁর স্বজনেরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা সাজ্জাদকে ছিনিয়ে নেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যাহার হওয়া এসআই সঞ্জীব পাল বলেন, ‘সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে অটোরিকশায় তোলার সময় হঠাৎ তাঁর স্বজনেরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর আমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’