রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও আবাসনের সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।

বুধবার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করেন তারা।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অভিযোগ, প্রশাসন হল ডাইনিং বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। এতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেসের উচ্চমূল্যের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি আবাসন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গণরুম বা বাইরের মেসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে আবাসনের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীর ৪ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

তাদের দাবি, গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাবান্ধব প্রশাসনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং পূর্বের সংকটগুলো এখনো বহাল রয়েছে।

দাবি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আগামী সাত দিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়াও তারা পাঁচ দফা প্রধান দাবি উত্থাপান করেছে।

তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন হল নির্মাণ ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা; বৈধ সিট বণ্টন চালু ও গণরুম ব্যবস্থা কার্যকর করা; ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দিয়ে মানসম্মত খাবার সরবরাহ, ক্যাম্পাস ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ সংস্কার; মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা চালু, প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধ সরবরাহ; গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে রাকসু নির্বাচন আয়োজন ও বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি শতভাগ আবাসনসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। কিন্তু এ বিপ্লবী প্রশাসন ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার বদলে ডাইনিং বন্ধ করিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অস্বীকার করছে।”

তিনি আরো বলেন, “সম্প্রতি বেশকিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করলেও তাদের কাজে রাকসু নির্বাচনের জনসংযোগের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপদ খাদ্য ও শিক্ষার পরিবেশবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে উপরিউক্ত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক ছ ত র ন শ চ ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

সিএমএসএমই ঋণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

ব্যাংকের কার্ড থেকে নগদ, বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন সুবিধা

তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ১২৬ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দফায় ডলার কিনেছিল। এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামে ১৪০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১৩৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে,  ২ সেপ্টেম্বর একই দরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ ব্যাংক থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে,  একই দরে গত ১৫ জুলাই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া গত ২৩ জুলাই ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। গত ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫  পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং  গত ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ত্বক সতেজ রাখতে এই ফল খান
  • রাকিবের রঙিন মাছের খামার, মাসে আয় ৪৫ হাজার টাকা
  • যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়
  • বিশ্ব অর্থনীতিতে ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব এখনো তেমন একটা পড়েনি: আইএমএফ
  • এক ছাতার নিচে ৪৮ ব্র্যান্ডের ফার্নিচার, ৫-১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
  • ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
  • নবম-দশম শ্রেণির সাড়ে পাঁচ কোটি পাঠ্যবই ছাপাবে সরকার
  • কুষ্টিয়ায় দুই দিনে ১৪ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
  • পুতিন যুদ্ধ না থামালে ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেবেন ট্রাম্প