গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে এমপিওভুক্ত দুটি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান। এর আগে, গতকাল এসএসসির ফল প্রকাশিত হয়।

জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ২৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ১৪ জন। তবে, তাদের একজনও পাস করেনি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ১৭ জন। তার মধ্যে শিক্ষক ১২ জন।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রামের ৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি 

জবিতে দুই শিক্ষক ও বাগছাসের নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলা

অপরদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে শিক্ষক ১০ জন। বিদ্যালয়টি থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মানবিক বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থী। তবে সবাই ফেল করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ঘুরিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা.

শাহেদা বেগম এবং বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘‘গত ২ জুলাই আমি এখানে যোগদান করেছি। রেজাল্ট সংক্রান্ত বিষয়ে আগামী রবিবার বিস্তারিত বলতে পারব। তবে, জেলায় পাসের হার ৬২ শতাংশ এবং একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি, এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা দুটি।’’

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘‘প্রতি মাসে শিক্ষকদের এত টাকা বেতন দেওয়ার পরও একজন শিক্ষার্থী পাস করতে না পারার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার। প্রতিষ্ঠান দুটিকে শতভাগ জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি যেসব বিদ্যালয়ে ফেলের হার উদ্বেগজনক, তাদেরকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এসএসস র ফল জন শ ক ষ র থ প স কর ন উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঝালকাঠির জেলার নলছিটি উপজেলার চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। 

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবাই অকৃতকার্য হয়েছে, যার ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল বোর্ডের এসএসসি ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, উপজলার কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ জন ও দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়য়ের ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু চার বিদ্যালয়ের কেউই উত্তীর্ণ হতে না পারায় জেলার শিক্ষা মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সি‌দ্দিকী বলেন, “নলছিটিতে চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে এবং ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/অলোক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শারীরিক সীমাবদ্ধতা জয় করে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে তানিশা
  • জিপিএ ৫ পেলেও কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় সুব্রত
  • বন্দরে মালেক সিকদারের নাতি ফাইয়াজ জিপি-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ  
  • পাকস্থলীতে গুলি লাগা সেই জুবায়ের এসএসসি পাস করেছেন
  • ২২ শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী ৩০, পাস করেনি কেউ
  • এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দারুণ সাফল্য
  • মোবাইলে আসক্তি, বিয়ে, পড়াশোনায় অনীহা: পাস করেনি কেউ
  • এসএসসিতে ছয় লাখ ফেল, তাদের কথা কি আমরা ভাববো না?
  • ঝালকাঠিতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ