স্কুলে ‘ব্যাকবেঞ্চার’ বলে কিছু থাকবে না, মালয়ালম সিনেমা বদলে দিল
Published: 13th, July 2025 GMT
কেরালার মালয়ালম সিনেমার পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথনের প্রথম সিনেমা ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’। যে সিনেমা চারজন দুষ্টু প্রকৃতির এবং পড়াশোনায় অনাগ্রহী শিক্ষার্থীর গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথনের অনুপ্রেরণা ছিল ২০১৪ সালের তামিল সিনেমা ‘কাক্কা মুট্টাই’। যা দেখিয়ে দিয়েছিল শিশুদের জন্য তৈরি সিনেমাতেও গভীর বার্তা থাকতে পারে। সিনেমায় সামাজিক বার্তা রাখতে চেয়েছিলেন বিশ্বনাথ। তার সামাজিক বার্তা এতোটাই প্রভাব তৈরি করেছে যে কেরালার ক্লাসরুমগুলো পাল্টে যাচ্ছে।
নিজের সিনেমার জন্য এই সামাজিক প্রভাব দেখে আপ্লুত এ নির্মাতা। ইন্ডিয়া টুডে–কে বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘সিনেমা সমাজে বদল আনতে পারে, এই বিশ্বাস নিয়েই তো কাজ করি।’’
সাধারণত স্কুলগুলোতে যেভাবে বেঞ্চগুলো সাজানো হয় সেখানে পেছনের সারিতে যেসব শিক্ষার্থী বসে তাদের সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা আছে সমাজের। স্কুল-কলেজে ‘ব্যাকবেঞ্চার’দের অনেক সময়েই অবাধ্য বলে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন:
সংসার ভাঙছে নয়নতারার?
প্রথম প্রেম এখনো বয়ে বেড়ান আনুশকা
তবে ভারতের কেরালা রাজ্যের বেশ কিছু স্কুলে এই ধারণা ভেঙে ফেলল এক মালয়ালম সিনেমা।
জানা গেছে, কেরালার বেশ কিছু স্কুলে এখন থেকে আর ‘ব্যাকবেঞ্চার’ বলতে কিছু থাকবে না। কারণ শ্রেণীকক্ষে আর কোনও পিছনের বেঞ্চ থাকবে না। সব শিক্ষার্থীই বসবে ‘ফার্স্ট বেঞ্চে’।
কেরালার স্কুলগুলোতে বেঞ্চগুলোকে অর্ধবৃত্তাকারে, ‘V’ আকারে কিংবা ‘U’ আকারে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষকরা সব শিক্ষার্থীর দিকেই সমানভাবে মনোযোগ দিতে পারছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে সমানভাবে আলোচনায় অংশ নিতে পারছে।
কেরালার ত্রিশুর, পালাক্কড়, ভালাকম, কন্নুর, আন্দুরের বেশ কিছু স্কুল ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে ক্লাস নিচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ক্লাস নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ, শ্রবণ এবং আলোচনার দক্ষতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
শ্রেণীকক্ষের এমন দৃশ্যের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথন নিজেও।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বৈরাচারী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করতে দেয়া হবে না : ডক্টর ইকবাল
এবার স্বৈরাচারী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত (নারায়ণগঞ্জ-৩) সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের এমপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আমার মতো অনেক ইকবালই ভোট চাইতে আসবে।
কিন্তু ভোট দেয়ার আগে একবার বিবেক দিয়ে ভাবুন কাকে ভোট দিলে আমার আল্লাহ খুশি হবেন। কোন মার্কায় ভোট দিলে দূর্নীতি বন্ধ হবে, কোন দলকে ভোট দিলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কোন নেতাকে ভোট দিলে দখলবাজি বন্ধ হবে। সাধারণ মানুষের উপর জুলুম ও অত্যাচার বন্ধ হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সোনারগাঁয়ের শম্বপুরা ইউনিয়ন ও পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও, দূর্গাপ্রসাদ, কাজীর গাঁও, চৌধুরীগাঁও, তাতুয়াকান্দি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের কোন আর্জি পেশ করা ছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের মুসলমান করে বানিয়েছেন তাই অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বলছেন, হে ইমানদারগণ আল্লাহ ভয় করার মত ভয় করো আর মুসলমান হওয়া ছাড়া মৃত্যু বরণ করো না।
যে ব্যক্তি জীবনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ও আন্তর্জাতিক জীবনে ও ইসলাম অনুসরণ করে তারাই প্রকৃত মুসলমান।
সুতরাং আমরা যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করি জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত কুরআন ও হাদিসের আলোকে নেয়া ছাড়া মুসলমান হওয়া সম্ভব না। এবারের সংসদ নির্বাচন ঈমান ও ইসলামের সাথে জড়িত।
তাই ভোট দেয়ার আগে একবার বিবেক দিয়ে ভাবুন কাকে ভোট দিলে আমার আল্লাহ খুশি হবেন। এবার কেউ যদি দশজনের ভোট একজনে দেয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের সেই স্বপ্ন কে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা হবে। আপনাদের ভোটে এবারের পার্লামেন্ট হবে কোরআনের পার্লামেন্ট ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শম্বপুরা ইউনিয়ন ও পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলেরগাঁও, দূর্গাপ্রসাদ, কাজীর গাঁও, চৌধুরীগাঁও, তাতুয়াকান্দি এলাকার জামায়াতের কর্মী ও সমর্থকরা।