শেষ ওভারে হোবার্ট হারিকেনসের দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে ওয়াইড দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পরের বল ছক্কা মোহাম্মদ নবীর। এরপর ২ রান। রংপুর রাইডার্সকে হারাতে তখন ৪ বলে মাত্র ৪ রান দরকার হোবার্টের। সেখান থেকেই কিনা ম্যাচ জিতে গেল রংপুর। শেষ ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২ রান তুলতে পারে হোবার্ট। ১ রানে জিতে গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেলে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর। আজমতউল্লাহ নন, ৪ উইকেট নিয়ে আগের ম্যাচের মতো আজও রংপুরের জয়ের নায়ক পেসার খালেদ আহমেদ।

আরও পড়ুনপ্রীতি জিনতার সঙ্গে ডু প্লেসির ভিডিও পোস্ট করে সমালোচনার মুখে দিল্লি৩ ঘণ্টা আগে

রংপুর করেছিল ৬ উইকেটে ১৫১ রান। রান তাড়ায় হোবার্ট প্রথম পাঁচ ওভারে ৫১ রান তুলে ফেলে।ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ১৯ বলে ৩৪ রান করা  বেন ম্যাকডরমেটকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট পান খালেদ। নিজের পরের ওভারে কোনো উইকেট না পেলেও মাত্র ৪ রান দেন খালেদ। ১৭তম ওভারে খালেদ যখন নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন, তখন হোবার্টের দরকার ২৪ বলে ৩৬ রান।

শুরুতে একটা চার হজম করলেও ওই ওভারেই খালেদ ফিরিয়ে দেন ১৩ বলে ২০ রান করা ওডিন স্মিথকে। ১৯তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে আরও ২ উইকেট নেন খালেদ। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে সব মিলিয়ে ৪ উইকেট পান তিনি।

বোলিংয়ে খালেদ ভালো করলেও রংপুরের বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো করতে পারেননি। ওপেনার সৌম্য সরকার ৬ বলে ৫, ইয়াসির আলী ১২ বলে ৯ আর নুরুল হাসান ৮ বলে ৩ রান করেন। তবুও ইব্রাহিম জাদরানের ৩১ বলে ৪৩ ও কাইল মেয়ার্সের ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।

ওই রান তাড়ায় নেমে হোবার্টের নবী ৩৬ বলে ৪৪ রান করেন। বেন ম্যাকডরমটের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ৩৪ রান। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করলেও ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে হোবার্ট।

আরও পড়ুনছন্দে ফিরলেন লিটন, সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রশিদ ও আজমত

বল করেছেন ১৪৭টি, রান দিয়েছেন মাত্র ৬৭। ওভারপ্রতি ইকোনমি ২.৭৩। উইকেট নিয়েছেন ১১টি।

শারজায় সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে বল হাতে বাংলাদেশকে প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। সেই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি মিলেছে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়েও। ওয়ানডে বোলারদের তালিকায় উঠে গেছেন এক নম্বরে। শুধু তাই নয়, অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে উঠেছেন আরেক আফগান—আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুইয়ে উঠে এসেছেন ইব্রাহিম জাদরান।

রশিদ সর্বশেষ বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ছিলেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে। প্রায় এক বছর পর আবারও ফিরলেন, এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়ে। তাঁর বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৭১০। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া কেশব মহারাজের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেশি।

বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর সিরিজে রশিদ তিন ম্যাচেই ছিলেন ধারাবাহিক। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৮ রানে ৩, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ রানে ৫ আর তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।

সিরিজসেরা ইব্রাহিম জাদরান ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন ৮ ধাপ। এখন তিনি দুইয়ে। আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। সিরিজে তাঁর ইনিংস ছিল ২৩, ৯৫ ও ৯৫ রান। এখন শীর্ষে থাকা শুবমান গিলের চেয়ে মাত্র ২০ রেটিং পয়েন্ট পেছনে। গিলের ৭৮৪, জাদরানের ৭৬৪।

আরও পড়ুনকঙ্কাল–ব্যাটিং, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন ৫০ ওভারও খেলতে পারে না২ ঘণ্টা আগে

অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়েও এসেছে পরিবর্তন। আজমতউল্লাহ ওমরজাই পেছনে ফেলেছেন সিকান্দার রাজাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এক নম্বরে থাকার পর রাজা সেই জায়গা হারিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৭ উইকেট ও ৬০ রান করে আবারও শীর্ষে ফিরেছেন আজমতউল্লাহ।

আবারও অলরাউন্ডারদের শীর্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রশিদ ও আজমত