ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, বাস চলাচল বন্ধ
Published: 22nd, July 2025 GMT
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার দাবিতে শ্রমিকদের একাংশের ডাকা মানববন্ধনে হামলা করেছে অপর পক্ষ। এর জেরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে দুপুর ১২টা থেকে ফরিদপুরের সব পথে বাস চলাচল বন্ধ আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ‘অবৈধ’ নির্বাচনের মাধ্যমে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন দখলের অভিযোগ তুলে ‘প্রহসনের কমিটি’ বাতিলের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনের আয়োজন করে শ্রমিকদের একটি পক্ষ। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পর অপর পক্ষের ‘নির্বাচিত’ সভাপতি ইয়াছিন মোল্লার (৪০) নেতৃত্বে অর্ধশত লোক সেখানে লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় এলোপাতাড়ি শ্রমিকদের পেটানো হয়। হামলাকারীরা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে স্লোগানও দেন।
এ ঘটনার পর সাধারণ শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে দুপুর ১২টা থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। তাঁরাও লাঠি নিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থান নেন। পরে বেলা দুইটার দিকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে রূপ নেয় বাসস্ট্যান্ড এলাকা। আহত হন অন্তত ১০ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বর্তমান সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা ও অপর পক্ষের নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন।
শ্রমিক ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিক ইউনিয়নে ৭ হাজার ২০০ সদস্য আছেন। এর মধ্যে এক হাজার দুজন শ্রমিককে সদস্য দেখিয়ে একপাক্ষিকভাবে ২৫ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ১৭ জুলাই সবাইকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
তবে ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ শ্রমিকদের না জানিয়ে গোপনে নির্বাচন করা হয়। কোনো তফসিল ঘোষণা না করে এবং ভোটার তালিকা না টানিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচন দেখিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নটি দখল করা হয়, যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হলে সেখানেও ইয়াছিন মোল্লার নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এরপর সাধারণ শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।’ তিনি বলেন, তাঁরা সুষ্ঠু একটি নির্বাচন ও শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। অন্যথায় শ্রমিকেরা কোনো বাস চালাবেন না।
তবে ইয়াছিন মোল্লা বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো চাঁদাবাজি করতেছে। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আজ আওয়ামী লীগের দোসররা একত্রিত হয়েছিল, তখন আমরা সাধারণ শ্রমিকেরা বাধা দিয়েছি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।