শেখ হাসিনা আমাদের ওপর একটা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে গেছে: নাহিদ
Published: 25th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করি, যেখানে বাস ও বিমানের ফিটনেস থাকে না। এখানে মানুষেরও ফিটনেস থাকে না। রাষ্ট্রের ফিটনেস থাকে না।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা আমাদের ওপর একটা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে গেছেন। আমরা বলেছি, এই প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের জন্য ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র আমরা রেখে যেতে পারি না।”
শুক্রবার (২৫ জুলাই ) দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ার ট্রাফিক পয়েন্টে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শেষ হয়নি: নাহিদ
৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে : নাহিদ
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়ে যাইনি। নতুন বাংলাদেশ, নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছিলাম। আমরা এখন গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, “মুজিববাদ নানা ছলে-বলে মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশে হবে না। মুজিববাদের বিরুদ্ধে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুজিববাদ মানে- একদলীয় শাসনব্যবস্থা, লুটপাট, দুনীর্তি ও দেশে ভারতের কাছে বর্গা দেওয়ার রাজনীতি। সেজন্য মুজিববাদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষা করতে হবে।”
এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়ের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, শামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সচিব ডা.
ঢাকা/মনোয়ার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম জ ত য় ন গর ক প র ট ম জ বব দ ফ টন স নত ন ব আম দ র এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।