ব্যানারে নেতার ছবি না থাকায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় শুভপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক পক্ষের সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী পক্ষটি জানায়, ওই সময় দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি–সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের কাদৈর বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে (একাংশ) এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুভপুর ইউনিয়ন বিএনপির এক পক্ষের নেতা-কর্মীদের দাবি, এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার আহ্বায়ক কামরুল হুদার অনুসারী। ব্যানারে তাঁর ছবি না থাকায় হামলাটি হয়েছে। অন্যদিকে হামলার শিকার পক্ষটি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম কাদের চৌধুরীর অনুসারী। কার্যালয়টি তাঁর অনুসারীরা ব্যবহার করেন। এই দুই নেতা কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।

প্রত্যক্ষদর্শী নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গতকাল বিকেলে কাদৈর বাজারে গোলাম কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করেন। এতে শুভপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। খবর পেয়ে সভা শুরুর আগেই সেখানে হামলা চালায় কামরুল হুদার অনুসারীরা। ওই সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো নেতা-কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত গোলাম কাদেরের অনুসারীদের সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।

গোলাম কাদেরের অনুসারী ও শুভপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামরুল হুদার অনুসারী শুভপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান ও সদস্যসচিব আবদুল মতিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালিয়ে সভাটি পণ্ড করা হয়। দলীয় কার্যালয়টির ব্যানারে কামরুল হুদার ছবি না থাকায় ব্যানারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ সময় বাধা দিলে হামলাকারীরা আমাকে ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বাচ্চুকে লাঞ্ছিত করে।’

তবে কামরুল হুদার অনুসারী আবদুল মতিনের দাবি, ‘যাঁরা সেখানে সভা করছিলেন, তাঁরা বিএনপির কেউ নন। আওয়ামী লীগের লোকজন ওই সভার আয়োজন করছিল। তবে আমরা ব্যানার ছিঁড়িনি। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি থাকায় আমরা সেটি খুলে ফেলেছি মাত্র। নিয়মের বাইরে ব্যানার লাগিয়ে তাঁদের প্রোগ্রাম আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে কে? চৌদ্দগ্রামে বিএনপির যেকোনো অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের ছবি থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। আহ্বায়কের ছবি না থাকা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। আমরা তাদের ওপর কোনো হামলা করিনি।’

এ ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দীন। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র অন স র রহম ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ