ঝিনাইদহ সীমান্তে ৩১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
Published: 26th, July 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৩১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব স্বর্ণের ওজন প্রায় সাড়ে ৪ কেজি এবং দাম পৌনে ৬ কোটি টাকার বেশি।
শনিবার (২৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মহেশপুর উপজেলার কুমিল্লাপাড়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লাপাড়া বিওপির একটি টহল দল নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেইন পিলার ৬০/৭০-আর এর কাছাকাছি এলাকায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে দেখতে পায়। তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি সঙ্গে থাকা তিনটি পোটলা ফেলে দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ভারতের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ফেলে যাওয়া পোটলা উদ্ধার করে কুমিল্লাপাড়া বিওপিতে নেওয়া হয়। সেখানে পোটলাগুলো খুলে ৩১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৪ কেজি ২০৩.
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক আবু হানিফ মো. সিহানুক জানিয়েছেন, জব্দ করা স্বর্ণের ব্যাপারে মহেশপুর থানায় জিডি করা হয়েছে। জব্দ তালিকা তৈরি করে স্বর্ণগুলো ঝিনাইদহ জেলা কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও চোরাচালান চক্রকে চিহ্নিত করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবু হানিফ মো. সিহানুক।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/সোহাগ/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ