ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে ৩১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব স্বর্ণের ওজন প্রায় সাড়ে ৪ কেজি এবং দাম পৌনে ৬ কোটি টাকার বেশি।

শনিবার (২৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মহেশপুর উপজেলার কুমিল্লাপাড়া সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয়।

বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লাপাড়া বিওপির একটি টহল দল নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেইন পিলার ৬০/৭০-আর এর কাছাকাছি এলাকায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে দেখতে পায়। তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি সঙ্গে থাকা তিনটি পোটলা ফেলে দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ভারতের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ফেলে যাওয়া পোটলা উদ্ধার করে কুমিল্লাপাড়া বিওপিতে নেওয়া হয়। সেখানে পোটলাগুলো খুলে ৩১টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার মোট ওজন ৪ কেজি ২০৩.

১১ গ্রাম। জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৩ হাজার ৬১৮ টাকা।

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক আবু হানিফ মো. সিহানুক জানিয়েছেন, জব্দ করা স্বর্ণের ব্যাপারে মহেশপুর থানায় জিডি করা হয়েছে। জব্দ তালিকা তৈরি করে স্বর্ণগুলো ঝিনাইদহ জেলা কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও চোরাচালান চক্রকে চিহ্নিত করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবু হানিফ মো. সিহানুক।

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি আরো বাড়ানো হয়েছে। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ব

এছাড়াও পড়ুন:

১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ

পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
  • ১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
  • বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বডি ক্যামেরা পাচ্ছে বিএসএফ
  • বাংলাদেশ সীমান্তের জন্য ৫ হাজার বডিক্যাম পাচ্ছে বিএসএফ