সদর উপজেলার ফতুল্লার হাজীগঞ্জ এলাকায় হাজীগঞ্জ-সস্তাপুর মেইন সড়কে সরিষা ভীলার সামনে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে সর্বদাই সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

জলাবদ্ধতার কারনে দিনে দিনে রাস্তাটি দুর্বল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি  সরানোর ব্যবস্থা থাকলেও  সেখানে বসবাস করা কতিপয় ব্যক্তির কারণে  কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানে হাজীগঞ্জবাসী মানবিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা'র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখে যায় যে , রাস্তাটির দুপাশে পানি যাতে গড়িয়ে যেতে না পারে তার জন্য রাস্তার পাশের বাড়ির মালিকগন যার যার সীমানায় ইটা, বালু সিমেন্ট ঢেলে দিয়ে উঁচু করে রেখেছেন। অপর দিকে সড়কের দুপাশ দিয়ে দুটি রাস্তার সংযোগ  আছে। তার একটি রাস্তা খালের সাথে গিয়ে শেষ হয়েছে। 

এই রাস্তার গতিপথ দিয়ে পূর্বে পানি প্রবাহিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এই রাস্তায় ড্রেন ব্যবস্থা থাকলেও রাস্তার পানি গড়িয়ে যাবার ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং উল্টো সেখানকার লোকজন পানি যেনো না যেতে পারে তার জন্য আটকে রেখেছেন । 

অপর দিকে অন্য দিকের রাস্তার অগ্রভাগের  অংশ অধিক উচু করায় পানি গড়িয়ে যেতে পারছে না। ফলে এই পানি জমে থাকার কারন লক্ষ্য  করা যায়। অনেকের মতে মেইন সড়কটি যখন নির্মাণ করা হয়েছে এই স্থান টুকু নীচু করে ফেলায় সড়কের সব পানি এসে এখানে জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। এ সব কারনেই এখানে সব সময় পানি জমে থাকে।

এলাকাবাসীকে  এই পানির কারনে চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই জন দুর্ভোগ হতে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ র ক রন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনার অভিযোগে ৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে ভারতের ৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনাবেচা ও বিপণনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনে ইচ্ছাকৃতভাবে অংশ নিয়েছে। এতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেসব ভারতীয় কোম্পানির ওপর মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেগুলো হচ্ছে, অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস, জুপিটার ডাই কেম, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পার্সিসটেন্ট পেট্রোকেম ও কাঞ্চন পলিমার্স।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্নের ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

 

নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদের অধীন যেসব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানা রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ইরানের ‘ছায়া নৌবহর’ ও বিশ্বব্যাপী মধ্যস্বত্বভোগীদের দমন করা, যারা ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য পরিবহনে সহায়তা করে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে এই ধরনের পণ্য কেনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তেহরানকে অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ, হুথি বিদ্রোহী, হামাসসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় এবং যুদ্ধপরিস্থিতি উসকে দিতে। মার্কিন সরকারের মতে, ইরান সরকারের এই নীতিমালার কারণে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং এতে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ