এক ব্যক্তির জায়গায় আরেক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করিনি: আখতার হোসেন
Published: 26th, July 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘ঠিক এক বছর আগে জুলাই মাসে জীবন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে উৎখাত করি। আমরা যখন হাসিনাকে উৎখাত করি, তখন এক ব্যক্তির জায়গায় আরেক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করিনি। দেশের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার হবে, বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান জনগণের হবে, নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হবে—এই কারণে চব্বিশে রক্ত দিয়েছি।’
আজ শনিবার বিকেলে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় আখতার হোসেন এসব কথা বলেন। শহরের নদী বাংলা সেন্টার পয়েন্ট এলাকায় পথসভার আয়োজন করা হয়।
আখতার হোসেন দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা চোখ হারিয়েছে, পা হারিয়েছে, জীবন দিয়েছে। এইসব করেছে নতুনভাবে দেশ গড়তে। নতুনভাবে দেশ গড়ার এনসিপির এই বার্তা ভৈরবের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলের সমালোচনা করতে গিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে যারা দীর্ঘ সময় শাসনের নামে শোষণ করেছে, সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাট করার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। আমরা আর পাচারের রাজনীতি দেখতে চাই না।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এনসিপি প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাক। তবে আমাদের আচরণ ঠিক রাখতে হবে। অনেকে চাঁদাবাজি করবে। কিন্তু আমাদের সামাজিক বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে থাকতে হবে। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক কাজ করতে হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ দলীয় কর্মীদের অভয় দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কেউ যদি ভয় দেখায়, রাজনৈতিকভাবে নিরুসাৎসাহিত করে, আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেব।’ এ সময় কর্মীদের দলীয় কোন্দল থেকে দূরে থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
পথসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আহনাফ সাঈদ খান, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শরীফুল হক, ভৈরব উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাইজার প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন আম দ র এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা