প্রথমে পুলিশ নিয়ে বাসায়,পরে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা
Published: 28th, July 2025 GMT
আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার আগে সেখানে পুলিশ নিয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা। ওই নেতাদের মধ্যে সংগঠনটির সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদও ছিলেন।
পলাতক আসামিরা আছেন—এমন তথ্য দিয়ে ১৭ জুলাই ওই বাসায় পুলিশ নিয়ে যান রিয়াদসহ কয়েকজন নেতা। তখন তাঁরা নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে সেদিন ওই বাসায় কোনো পলাতক আসামিকে না পাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা ফিরে যান। তখন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে মামলায় জড়ানো ও গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতারা। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মূলত আতঙ্ক তৈরি করতেই পুলিশ সদস্যদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতারা নিজেদের ক্ষমতা দেখান। ভুক্তভোগীও এতে ঘাবড়ে যান এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে দেন। এরপর আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে দুই দফায় বাসায় যান তাঁরা। আবার মুঠোফোনেও চাঁদা দাবি করে শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে হুমকি দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন্স) মো.
চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গত শনিবার রাত আটটার দিকে গুলশান থেকে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গতকাল গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বাইরে কাজী গৌরব ওরফে অপু নামের একজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে রিয়াদ, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও ইব্রাহিম হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আরেকজনকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে ইব্রাহিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক। অন্যদিকে সিয়াম ও সাদাব একই কমিটির সদস্য।
শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে মামলায় জড়ানো ও গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই নেতারা। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।ঢাকার সিএমএম আদালতে গতকাল গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান বলেন, রিয়াদসহ অন্যরা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁরা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট (নিশানা) করে চাঁদাবাজি করে আসছেন।
পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে আরও যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এই যারা চাঁদাবাজ, এদের বয়সই–বা কত, এই বয়সেই কেন কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করতে হবে? এই চাঁদাবাজদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’
আমার কাছে মনে হয়েছে, এই ছেলেরা তাঁদেরকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশকে ট্রাম্প কার্ড বানিয়েছে। পুলিশকে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছে আমরা কিন্তু যখন–তখন আপনাকে ধরিয়ে দেব।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশন্স) মো. নজরুল ইসলামঅবশ্য রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রিয়াদের আইনজীবী আক্তার হোসেন ভূঁইয়া আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেল নিরপরাধ। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
প্রায় ৪৫ মিনিট উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হলে আদালত রিয়াদসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। পরে তাঁদের কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতকক্ষ থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন একদল আইনজীবী এই আসামিদের চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করে নানা কটূক্তি করতে থাকেন। তাঁদের আদালতে নেওয়ার সময়ও ২০ থেকে ২৫ জন আইনজীবীসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোনো কোনো আইনজীবী তাঁদের মারধরের চেষ্টাও করেন।
রিয়াদসহ অন্যরা যখন নিজেদের মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন কয়েকজন আইনজীবী একযোগে তাঁদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘এই মুখ ঢেকে রাখিস কেন...?’ এ সময় একজন আইনজীবী চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘তোরা জুলাই চেতনা বিক্রি করে চাঁদাবাজি করেছিস...।’
ঢাকার সিএমএম আদালতে গতকাল গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান বলেন, রিয়াদসহ অন্যরা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁরা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশান, বারিধারাসহ অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট (নিশানা) করে চাঁদাবাজি করে আসছেন।ভুক্তভোগী যা বললেনআওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে প্রথম আলো। তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছে, সেটির বাদী সিদ্দিক আবু জাফর। ওই মামলার এজাহারে তিনি চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন।
সিদ্দিক আবু জাফর মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে তাঁর বাসায় প্রবেশ করেন রিয়াদ ও কাজী গৌরব ওরফে অপু। এ সময় তাঁকে হুমকি দেন। একপর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁরা আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁকে (শাম্মী আহমেদের স্বামী) গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দেন। এরপর টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে তাঁর কাছে থাকা পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের থেকে নিয়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা রিয়াদ ও অপুকে দেন।
এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় দফায় রিয়াদ ও অপু চাঁদার টাকা নিতে আসেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা আবার বাসায় আসেন। তাঁরা আরও ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। চাঁদার এই টাকা না দিলে তাঁকে (আবু জাফর) পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
পরিবার অসচ্ছল, তবে ভবন উঠছে বাড়িতেচাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিয়াদ নোয়াখালীতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পাকা ভবন তৈরি করছেন। প্রায় আড়াই মাস আগে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে দেওয়া হয়েছে ছাদঢালাই।
রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুরে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, একতলা একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে চারটি কক্ষ রয়েছে।
রিয়াদের গ্রামে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, আর্থিক অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা একজন ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ পাকা ভবন নির্মাণ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। এ আলোচনায় নতুন মাত্রা পেয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিয়াদের এক চাচি প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াদের বাবা ও বড় ভাই দুজনই রিকশা চালাতেন। এখন চালান না। রিয়াদ ঢাকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন বলে শুনেছেন।
রিয়াদের বাবা আবু রায়হান সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে আড়ালে চলে যান। রিয়াদের মা রেজিয়া বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। ছোট ছেলে রিয়াদ ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বড় ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তবে বড় ছেলে ফুটপাতে ব্যবসা করেন, এমন কথাও বলেন রেজিয়া বেগম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিয়াদের এক চাচি প্রথম আলোকে বলেন, রিয়াদের বাবা ও বড় ভাই দুজনই রিকশা চালাতেন। এখন চালান না। রিয়াদ ঢাকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন বলে শুনেছেন।রেজিয়া বেগম বলেন, মানুষের কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে, তাঁর স্বামীর আয়ের টাকায় ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। পাকা ভবন নির্মাণ করছেন ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে, স্বামীর জমানো টাকা দিয়ে। ধারদেনাও করেছেন।
রিয়াদদের ভিটায় যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, তার আয়তন ৯০০ থেকে ১ হাজার বর্গফুট হতে পারে। এমন আয়তনের একটি ভবন করতে কত টাকা খরচ হতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয় একজন প্রকৌশলীর কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রকৌশলী প্রথম আলোকে বলেন, এক হাজার বর্গফুটের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত যে কাজ (ছাদঢালাই) করা হয়েছে, তাতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা।
তীব্র প্রতিক্রিয়া, শাস্তি দাবিগুলশানে চাঁদাবাজির বিষয়ে ফেসবুকে গত শনিবার রাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি এক স্ট্যাটাসে লেখেন, এই চাঁদাবাজির খবর দেখে আশপাশের সবাই এত অবাক হওয়ার ভান করছেন, বিষয়টা কিছুটা হাস্যকর বটে। বলতে হবে, এই প্রথম কোনো চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে ধরা খেল। ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শিকড় অনেক গভীরে।
আরও পড়ুনউমামা ফাতেমার ফেসবুক পোস্ট: ঠিকমতো খোঁজ নিলে বুঝবেন, এদের শেকড় অনেক গভীরে২০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহম দ র স ব ম ভবন ন র ম ণ প রথম আল ক ন র ম ণ কর ১০ ল খ ট ক সমন বয়ক র য় দসহ আইনজ ব ওই ন ত প রক শ কর ন ব গতক ল র ঘটন হওয় র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল