Risingbd:
2025-09-18@06:28:56 GMT

সুস্মিতার অসম প্রেম চর্চায়

Published: 29th, July 2025 GMT

সুস্মিতার অসম প্রেম চর্চায়

সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ভক্ত-অনুরাগীদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। ৪৯ পেরিয়ে তার ৫০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। 

ব্যক্তিগত জীবনে বয়সে ছোট মডেল রোহমান শলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সুস্মিতা। ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান; ২০২১ সালে তা ভেঙে যায়। প্রেমের সম্পর্ক ভাঙলেও সুস্মিতার পরিবারে তার নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। অনেকটা সময় পর এ জুটির অসম চর্চায় পরিণত হয়েছে। এটি উসকে দিয়েছেন রোহমান শলে। 

সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে রোহমান শলে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, কালো রঙের পোশাকে দাঁড়িয়ে শলে ও এক ব্যক্তি। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আছেন তারা। শলের সামনের ব্যক্তিটি বিপরীত দিকে মুখ ফিরে দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে তাদের গায়ের একই রঙের জ্যাকেট বলছে, সামনের ব্যক্তিটি সুস্মিতা। কারণ এর আগে একই পোশাকে একাধিক রয়েছে এই জুটির।   

আরো পড়ুন:

‘মাসুদ রানা’ সিরিজের গল্প নিয়ে ওয়েব ফিল্ম, প্রধান চরিত্রে মৌ

বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

সুস্মিতার সঙ্গে শলের সম্পর্কের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে ছবিটি পোস্ট করেছেন। এতে শলে বলেন, “আজ ৭ বছর পূর্ণ হলো। কিছু গল্প শিরোনামের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে। কিন্তু কখনো সেই গল্পের অর্থ হয় না। আমি তোমাকে দাবা খেলা শিখিয়েছিলাম, তুমি এখন কোনোরকম অনুগ্রহ ছাড়াই হারাতে পারো। তুমি আমাকে সাঁতার শিখিয়েছিলে, পানিতে ভীতি ছিল, তুমি গভীরে টেনে নিয়ে গিয়েছিলে (আক্ষরিক অর্থে আবেগ)। আমার জীবনের সেরা হেয়ারকাটের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে কীভাবে থাকি!” 

ভালোবাসা ও নিখাদ বন্ধুত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভয়, শক্তি, নিজেদের ভূমিকাও অদলবদল করেছি। আমরা এমন একটি বন্ধন খুঁজে পেয়েছি, যা সমস্ত পরিচয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রেমিক নয়, অপরিচিত নয় বরং বিরল কিছু! একসময় তুমি আমার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান ছিলে, আজও আছো! আমাদের ভালোবাসা, নিখাদ বন্ধুত্বের জন্য কৃতজ্ঞ।” হ্যাশ ট্যাগে লেখেন, “শুভ বাষির্কী, সাত বছর, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও সম্মান।” 

রোহমান শলের বক্তব্য পড়ে নেটিজেনরা তার গভীর ও পরিপক্ক ভাবনার প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি সুস্মিতার সঙ্গে তার অসম প্রেম নিয়ে চর্চা করছেন। নেটিজেনদের ভাষ্য—জোড়া লেগেছে সুস্মিতা-শলের ভাঙা প্রেম। 

গত বছর জুম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে রোহমান শলে বলেছিলেন, “তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা হয়, তখন উপলদ্ধি করি, সে যা দেখায় তারচেয়েও চমৎকার একজন মানুষ। আমি তার ভক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন আমি তার ‘ভালোবাসার’ ভক্ত। আমি তার পরিশ্রম দেখেছি। আমি তার মনের বড় একজন ভক্ত। সে জানে তার চারপাশে কি ঘটছে।” 

প্রেম ভেঙে গেলেও সুস্মিতার সঙ্গে এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে রোহমান শলের। তা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনো বন্ধু। কারণ আমি তার কাছ থেকে সাহস সঞ্চয় করি। এসব কিছুই আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। মানুষজন, প্রাক্তনদের ‘বন্ধু’ বলেন। কিন্তু আপনার কাছে কথা বলার কিছু না থাকলে কীভাবে বন্ধু হতে পারেন?”  

সুস্মিতার সঙ্গে শলের রসায়ন ‘ডাল-ভাতের’ মতো। এ তথ্য উল্লেখ করে রোহমান শলে বলেছিলেন, “আমাদের ডাল-ভাতের মতো সম্পর্ক। আমরা পরস্পরের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমরা পরিপূর্ণভাবে পরস্পরকে বুঝতে পারি। মানুষ কি বলছে এসবে পাত্তা দিই না। মানুষকে আমার সম্পর্কের বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারি না। কিন্তু আমরা পরস্পরকে বুঝি আর এটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।” 

রোহমান শলে ছাড়াও সুস্মিতার প্রেমিকের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এ তালিকায় রয়েছেন— ঋত্বিক ভাসিন, বিক্রম ভাট, রণদীপ হুদা, ওয়াসিম আকরাম, মানব মেনন, সাবির ভাটিয়া, বান্টি সচদেব প্রমুখ। ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও কারো সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েননি। এখনো বিয়ে করেননি সুস্মিতা সেন। 

বিয়ে না করেও মা হয়েছেন সুস্মিতা সেন। খুব অল্প বয়সেই দত্তক নেন প্রথম সন্তানকে। ২৪ বছর বয়সে ঘরে নিয়ে আসেন মেয়ে রিনিকে। এর দশ বছর পর দত্তক নেন আলিশাকে। দুই মেয়ের সঙ্গেই দুর্দান্ত বন্ডিং মা সুস্মিতার। আর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে সন্তানদের বড় করছেন এই অভিনেত্রী। 

১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী হন সুস্মিতা সেন। দুই বছর পর পরিচালক মহেশ ভাটের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন তিনি। কিন্তু শুরুতেই সাফল্য পাননি। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বন ধ ত ব র জন য বছর প

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”

এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ