সাবেক মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ভক্ত-অনুরাগীদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে। ৪৯ পেরিয়ে তার ৫০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
ব্যক্তিগত জীবনে বয়সে ছোট মডেল রোহমান শলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সুস্মিতা। ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান; ২০২১ সালে তা ভেঙে যায়। প্রেমের সম্পর্ক ভাঙলেও সুস্মিতার পরিবারে তার নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল। অনেকটা সময় পর এ জুটির অসম চর্চায় পরিণত হয়েছে। এটি উসকে দিয়েছেন রোহমান শলে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে রোহমান শলে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, কালো রঙের পোশাকে দাঁড়িয়ে শলে ও এক ব্যক্তি। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আছেন তারা। শলের সামনের ব্যক্তিটি বিপরীত দিকে মুখ ফিরে দাঁড়িয়ে আছেন। ফলে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে তাদের গায়ের একই রঙের জ্যাকেট বলছে, সামনের ব্যক্তিটি সুস্মিতা। কারণ এর আগে একই পোশাকে একাধিক রয়েছে এই জুটির।
আরো পড়ুন:
‘মাসুদ রানা’ সিরিজের গল্প নিয়ে ওয়েব ফিল্ম, প্রধান চরিত্রে মৌ
বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল
সুস্মিতার সঙ্গে শলের সম্পর্কের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে ছবিটি পোস্ট করেছেন। এতে শলে বলেন, “আজ ৭ বছর পূর্ণ হলো। কিছু গল্প শিরোনামের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে। কিন্তু কখনো সেই গল্পের অর্থ হয় না। আমি তোমাকে দাবা খেলা শিখিয়েছিলাম, তুমি এখন কোনোরকম অনুগ্রহ ছাড়াই হারাতে পারো। তুমি আমাকে সাঁতার শিখিয়েছিলে, পানিতে ভীতি ছিল, তুমি গভীরে টেনে নিয়ে গিয়েছিলে (আক্ষরিক অর্থে আবেগ)। আমার জীবনের সেরা হেয়ারকাটের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে কীভাবে থাকি!”
ভালোবাসা ও নিখাদ বন্ধুত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভয়, শক্তি, নিজেদের ভূমিকাও অদলবদল করেছি। আমরা এমন একটি বন্ধন খুঁজে পেয়েছি, যা সমস্ত পরিচয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রেমিক নয়, অপরিচিত নয় বরং বিরল কিছু! একসময় তুমি আমার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান ছিলে, আজও আছো! আমাদের ভালোবাসা, নিখাদ বন্ধুত্বের জন্য কৃতজ্ঞ।” হ্যাশ ট্যাগে লেখেন, “শুভ বাষির্কী, সাত বছর, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও সম্মান।”
রোহমান শলের বক্তব্য পড়ে নেটিজেনরা তার গভীর ও পরিপক্ক ভাবনার প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি সুস্মিতার সঙ্গে তার অসম প্রেম নিয়ে চর্চা করছেন। নেটিজেনদের ভাষ্য—জোড়া লেগেছে সুস্মিতা-শলের ভাঙা প্রেম।
গত বছর জুম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করে রোহমান শলে বলেছিলেন, “তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা হয়, তখন উপলদ্ধি করি, সে যা দেখায় তারচেয়েও চমৎকার একজন মানুষ। আমি তার ভক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন আমি তার ‘ভালোবাসার’ ভক্ত। আমি তার পরিশ্রম দেখেছি। আমি তার মনের বড় একজন ভক্ত। সে জানে তার চারপাশে কি ঘটছে।”
প্রেম ভেঙে গেলেও সুস্মিতার সঙ্গে এখনো বন্ধুত্ব রয়েছে রোহমান শলের। তা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখনো বন্ধু। কারণ আমি তার কাছ থেকে সাহস সঞ্চয় করি। এসব কিছুই আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। মানুষজন, প্রাক্তনদের ‘বন্ধু’ বলেন। কিন্তু আপনার কাছে কথা বলার কিছু না থাকলে কীভাবে বন্ধু হতে পারেন?”
সুস্মিতার সঙ্গে শলের রসায়ন ‘ডাল-ভাতের’ মতো। এ তথ্য উল্লেখ করে রোহমান শলে বলেছিলেন, “আমাদের ডাল-ভাতের মতো সম্পর্ক। আমরা পরস্পরের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমরা পরিপূর্ণভাবে পরস্পরকে বুঝতে পারি। মানুষ কি বলছে এসবে পাত্তা দিই না। মানুষকে আমার সম্পর্কের বিষয় ব্যাখ্যা করতে পারি না। কিন্তু আমরা পরস্পরকে বুঝি আর এটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।”
রোহমান শলে ছাড়াও সুস্মিতার প্রেমিকের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এ তালিকায় রয়েছেন— ঋত্বিক ভাসিন, বিক্রম ভাট, রণদীপ হুদা, ওয়াসিম আকরাম, মানব মেনন, সাবির ভাটিয়া, বান্টি সচদেব প্রমুখ। ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও কারো সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েননি। এখনো বিয়ে করেননি সুস্মিতা সেন।
বিয়ে না করেও মা হয়েছেন সুস্মিতা সেন। খুব অল্প বয়সেই দত্তক নেন প্রথম সন্তানকে। ২৪ বছর বয়সে ঘরে নিয়ে আসেন মেয়ে রিনিকে। এর দশ বছর পর দত্তক নেন আলিশাকে। দুই মেয়ের সঙ্গেই দুর্দান্ত বন্ডিং মা সুস্মিতার। আর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে সন্তানদের বড় করছেন এই অভিনেত্রী।
১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী হন সুস্মিতা সেন। দুই বছর পর পরিচালক মহেশ ভাটের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন তিনি। কিন্তু শুরুতেই সাফল্য পাননি। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বন ধ ত ব র জন য বছর প
এছাড়াও পড়ুন:
বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।
বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট
সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন
বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।
এজন্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।
আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’
এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।
মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।
ঢাকা/ইয়াসিন