১৯ জুলাই সকাল ১০টা। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল বাজারে গাড়ি থেকে নামলাম। ততক্ষণে ব্যাপারীদের পাইকারি কেনাকাটা শেষ। মালপত্র বেঁধেছেঁদে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। কিন্তু ফুটপাতে তখনো ভিড়। খুচরা ক্রেতারা পছন্দের জিনিস কিনতে দরদাম করছেন। ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লাম, দেখা যাক কী পাওয়া যায়।
কাঁঠালের দোকানে তেমন ভিড় নেই। লটকনের দোকান বেশি, বিক্রিও ভালো। আকার অনুযায়ী দাম। এখানে না এলে জানতামই না, এত বড় আকারের লটকন হতে পারে! এক গৃহস্থ টুকরিতে কলম্বো লেবু নিয়ে বসে আছেন। এই লেবু আকৃতি ও সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে থামতেই হলো। কয়েকটি দোকানে সাজানো হলুদ আর লাল রঙের রাম্বুটান!
দেখতে ফুলের মতো আকর্ষণীয় রঙের এই ফল সবার নজর কাড়ছে। ক্রেতারা দাম জানতে চাইছেন। কেউ কেউ কিনছেনও। জানতে চাইলাম, এই রাম্বুটান কোথা থেকে এল? দোকানির উত্তর শুনে চোখ ছানাবড়া। নরসিংদীর কয়েকটি গ্রামেই নাকি ইদানীং চাষ হচ্ছে রাম্বুটান। দারুণ ব্যাপার। এ খবর জানা ছিল না।
কাছাকাছি দূরত্বে কোনো গ্রামে গেলে কি রাম্বুটানের বাগান দেখতে পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা মো.
আমরা দ্রুত বাগানের পথ ধরি। বাগানে যেতে যেতে মনে হলোÑ ঘন গাছপালার ছাউনির ভেতর দিয়ে ক্রমেই যেন হারিয়ে যাচ্ছি! এখানকার বেশির ভাগ গাছই লটকনের। বাগানগুলো এতই বড় যে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ভালোভাবে দেখা যায় না।
অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গেলাম লাখপুর গ্রামে। উয়ারী ও বটেশ্বর–লাগোয়া এই গ্রামে রাম্বুটানের বাগানে গিয়ে চমকে উঠি। বেশ বড় বড় অনেক গাছ। গাছে গাছে দুই রঙের রাম্বুটান। চমৎকার দৃশ্য।
এ রংবাহারি ফল দেখার জন্য সারা দিন অনেক মানুষ ভিড় করেন সেখানে। কেউ কেউ দেখছেন, আবার কিনছেনও। একটু সময় নিয়ে বাগানটি ঘুরে দেখি। ছয়-সাত বছর বয়সী সব গাছই ফলভারে আনত। পাকা ফলগুলো দেখতে রঙের ঝরনাধারার মতো, বহুবর্ণিল। বাগান থেকে তরতাজা কিছু ফল কিনি। মন ভরে ছবি তুলি।
একসময় রাম্বুটান চিনতাম না। ২০০৫ সালে হংকংয়ে বেড়াতে গিয়ে বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান শাহিনের বাসায় প্রথম এ ফল খাই। পরে কুয়ালালামপুর শহরের আশপাশে রাম্বুটানের অনেক গাছ দেখেছি। দুই বছর পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারে গাছভর্তি রাম্বুটান দেখে চমৎকৃত হয়েছিলাম। বীজ থেকে তৈরি চারাগুলো সেখানে প্রথম লাগানো হয় ১৯৯৮ সালে। প্রায় সাত বছর পর গাছগুলোতে ফল আসতে শুরু করে। আকৃতি ও স্বাদের দিক থেকেও ফলগুলো সমমানের।
বাগানে সুদর্শন হলুদ রঙের রাম্বুটানউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বেসরকারি ব্যাংক নেবে এমটিও, বেতন শুরু ৬০০০০, প্রবেশন শেষে ৭৬০৬৫ টাকা, করুন আবেদন
বেসরকারি খাতের অন্যতম ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও) পদে জনবল নিয়োগ দেবে। এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার প্রোগ্রামটি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নেতাদের গড়ে তোলার একটি প্রোগ্রাম। কাঠামোবদ্ধ প্রশিক্ষণ, ব্যবহারিক দক্ষতা, পেশাদারত্ব ও নেতৃত্ব বিকাশে সুযোগ প্রদান করে ব্যাংকটি। দেশের অন্যতম গতিশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সফল কর্মজীবন শুরুর প্রথম ধাপ এমটিও।
আদর্শ প্রার্থীর যে গুণাবলি থাকবে—
ব্যতিক্রমী আন্তব্যক্তিক দক্ষতা, শক্তিশালী কর্মনীতি, সততা ও জবাবদিহি থাকতে হবে।
গ্রাহককেন্দ্রিক মানসিকতা ও চাপের মধ্যে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য স্থিতিস্থাপকতার সঙ্গে চমৎকার যোগাযোগ ক্ষমতা।
এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল এবং এমএস পাওয়ারপয়েন্টে চমৎকার দক্ষতা ও ব্যবহারিক দক্ষতার সঙ্গে বহু কাজে পারদর্শিতা থাকতে হবে।
আবেদনে যোগ্যতা
যেকোনো ডিসিপ্লিন থেকে চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে, যা ইউজিসি অনুমোদিত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে, ইউজিসি মান অনুযায়ী সমতা থাকতে হবে।
সিজিপিএ: এইচএসসি এবং এসএসসিতে সিজিপিএ–৪ দশমিক ৫ (৫–এর মধ্যে)। স্নাতক/স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ–৩ (৪–এর মধ্যে)।
বেতন
এমটিও পদে কারও চাকরি হলে মাসে বেতন মিলবে ৬০ হাজার টাকা। এক বছরের প্রবেশন সময়ে এ বেতন মিলবে। সফলভাবে প্রবেশনকাল সম্পন্ন করার পর প্রার্থীরা ‘এক্সিকিউটিভ অফিসার’ হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন। তখন এ পদে মাসিক বেতন হবে ৭৬ হাজার ৬৫ টাকা। সঙ্গে অন্যান্য আকর্ষণীয় সুবিধা।
আবেদনের বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩২ বছর (৩১ জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী)।
প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া
আবেদনকারী প্রার্থীদের অনলাইনে এমসিকিউ পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, প্রেজেনটেশন ও ভাইভা দিতে হবে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২২ ঘণ্টা আগেআবেদনের নির্দেশাবলি
আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখের মধ্যে ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে একটি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি (সর্বোচ্চ ৩০KB) আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা২ ঘণ্টা আগে