বিটিএস আর্মিদের নিয়ে তথ্যচিত্রে যা আছে
Published: 2nd, August 2025 GMT
বিশ্বজুড়ে আলোচিত কে–পপ ব্যান্ড বিটিএসের অনুরাগীরা ‘আর্মি’ নামে পরিচিত। সিউল থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস, টেক্সাস থেকে মেক্সিকো সিটি—দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে আছে আর্মি। আর্মির সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়েছে। আর্মিদের নিয়ে ‘বিটিএস আর্মি: ফরএভার উই আর ইয়াং’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন পরিচালক গ্রেস লি ও পার্টি আন। ৫ আগস্ট তথ্যচিত্রটি মুক্তি পাবে।
তথ্যচিত্রের অন্যতম নির্মাতা ও প্রযোজক গ্রেস লি বলেন, ‘আর্মি ছাড়া বিটিএস কিছুই নয়, আর বিটিএস ছাড়া আর্মিও তো কিছুই নয়।’ জন্মলগ্ন থেকেই বিটিএস ও আর্মি একে অপরের পরিপূরক। ফোর্বস জানিয়েছে, তথ্যচিত্রে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ছড়িয়ে থাকা আর্মিদের কার্যক্রম ফুটে উঠেছে, তথ্যচিত্রে আর্মিদের আশা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বিটিএসকে নিয়ে আগেও তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে এটি আলাদা; কারণ, তথ্যচিত্রটি ভক্তদের নিয়ে নির্মিত হয়েছে। তথ্যচিত্রের মূল চরিত্রে রয়েছেন আর্মিরাই। যাঁদের সহনশীলতা ও বিটিএসের প্রতি গভীর আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে উদযাপন করা হয়েছে। এতে সিউলের একটি ড্যান্স ক্লাসকে দেখানো হয়েছে, সেই ক্লাসে বিটিএসের নাচের কোরিওগ্রাফি শেখানো হয়।
পরিচালক ও প্রযোজক প্যাটি আন বলেন, ‘তথ্যচিত্রটি আর্মিদের আবেগ জড়িয়ে আছে, আমরা সেই আর্মিদের সঙ্গে পরিচিত হব, যারা আমাদের হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে ও ভাবতে বাধ্য করেছে। আর্মিদের সহনশীলতা, সৃজনশীলতা ও রসবোধে আমরা বারবার মুগ্ধ হয়েছি এবং আশা করি দর্শকেরাও তা–ই হবেন।’
এর মধ্যে প্রথম লাইভ অ্যালবাম ‘পারমিশন টু ড্যান্স অন স্টেজ-লাইভ’ প্রকাশ করেছে বিটিএস। অ্যালবামে ২০২১-২২ সালে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ‘পারমিশন টু ড্যান্স অন স্টেজ’-এ সিউল, লস অ্যাঞ্জেলেস ও লাস ভেগাসে গাওয়া গানগুলো জায়গা পেয়েছে। অ্যালবামে ‘ডায়নামাইট’, ‘বাটার’-এর মতো হিট গান থাকছে। ট্যুরে গানগুলো নতুন আয়োজনে গাওয়া হয়েছিল। এর বাইরে ‘অন’, ‘ফায়ার’, ‘ডোপ’, ‘আইডল’সহ ২২টি গানের লাইভ ভার্সন রয়েছে।
প্রায় তিন বছর বিরতির পর আগামী বছরের বসন্তকালে মঞ্চে ফিরছে বিটিএস। ইতিমধ্যে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন আরএম, জিন, জে-হোপ, জিমিন, ভি, জাংকুক ও সুগা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উপকূলে নিরাপদ পানির জন্য ‘রেইন ফর লাইফ’
উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে ‘রেইন ফর লাইফ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ব্র্যাক।
প্রকল্পটি আগামী তিন বছর সাতক্ষীরার আশাশুনি, বাগেরহাটের মংলা এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপকূলীয় উপজেলায় ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য নিরপাদ পানির জন্য কাজ করবে বলে ব্র্যাক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে প্রকল্পের যাত্রা শুরু উপলক্ষে গত মঙ্গলবার একটি কর্মশালা হয়েছে।
ডেনমার্কের সহায়তায় পরিচালিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, জলাশয়ের পানি পরিশোধন এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষিকে উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এছাড়া কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্র্যাকের ‘অ্যাডাপটেশন ক্লিনিক’ মডেলের মাধ্যমে বিশেষ করে নারীদের নেতৃত্বে প্রান্তিক কৃষকদের জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি ও পরামর্শ দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
কর্মশালায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার বলেন, “প্রকল্পটি সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকৃতি নির্ভর সামগ্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এটি কেবল মানুষের জন্যই নয়, ফসল, গবাদিপশু এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, “রেইন ফর লাইফ প্রকল্পটি নিরাপদ পানি এবং খাদ্য নিরাপত্তা- এই দুটি বিষয়কে একসঙ্গে মোকাবিলা করছে, কারণ জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে এই দুইয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”
“যদিও নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে এটি সমস্যা সমাধানের একটি অংশমাত্র। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি।আমাদের সমাধানগুলো হতে হবে ব্যয় সাশ্রয়ী, টেকসই, স্থানীয় জনগোষ্ঠী পরিচালিত এবং বাস্তবসম্মত।এসব কর্মকাণ্ডে প্রকল্প-নির্ভর মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”
সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদও কর্মশালায় বক্তব্য দেন।
ঢাকা/এস/এসবি