ক্রীড়া পুরস্কারের মোড়কে মিলনমেলা
Published: 2nd, August 2025 GMT
প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠান কি শুধুই পুরস্কারজয়ীদের জন্য! অনুষ্ঠানের নাম এমন কিছু বোঝাতে পারে, তবে আসলে যে তা নয়, এটা বোধ হয় বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে এখন আর কারও অজানা নেই। হ্যাঁ, পুরস্কার কারা পাচ্ছেন—অবশ্যই এটা সবচেয়ে বড় কৌতূহল হয়ে থাকে অনুষ্ঠানে। পুরস্কারজয়ীদের আনন্দও সবার চেয়ে বেশিই হয়। হয়তো পুরো আয়োজনের মধ্যমণিও হয়ে থাকেন তাঁরা।
তবে সেটি তো পুরস্কারজয়ীদের নাম ঘোষণা করার পর। এর আগপর্যন্ত তো সবাই সমান। কেউ জানেনই না, কে পুরস্কার পাচ্ছেন, কে পাচ্ছেন না। প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার এই একটা জায়গায় একেবারেই ব্যতিক্রমী। অন্য সব পুরস্কারে যেমন থাকে, এখানে কখনোই তেমন কোনো মনোনয়ন তালিকা থাকে না। পুরস্কারজয়ীদের নাম আগাম অনুমান করার চেষ্টা তো চলেই। কেউ আগের বছরের খেলার খোঁজখবর রেখে থাকলে তা মিলেও যেতে পারে। তবে মনোনয়ন তালিকা না থাকায় সম্ভাব্য পুরস্কারজয়ীদের নাম নিয়ে যখন জল্পনা–কল্পনা চলে, সেটি নির্দিষ্ট কয়েকজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।
৯ আগস্ট সোনারগাঁও হোটেলের ওয়েসিসে ২০২৪ সালের কৃতীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া উপলক্ষে বসবে মিলনমেলা। অনেক দিন পর চেনা মুখ দেখে আবেগাপ্লুত হওয়ার ঘটনা ঘটবে। অনেকে ফিরে যাবেন অতীতের স্বর্ণালি দিনের স্মৃতিচারণায়। এসবের আকর্ষণেই এই পুরস্কার অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকেন বাংলাদেশের খেলার মানুষেরা।ভেবেচিন্তেই এমন করা হয়েছে। ২০০৪ সালে এই পুরস্কার শুরুর দিনেই ঠিক করে নেওয়া হয়েছিল, এই ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানের মূল সুর হবে সর্বজনীন উদ্যাপন। খেলার উদ্যাপন। খেলার মানুষদের নিয়ে উদ্যাপন। এই ক্রীড়া পুরস্কারকে ঘিরে যা হয়, তা আসলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের মিলনমেলা।
দর্শকের আসনে বসা এঁরা সবাই খেলার জগতের মানুষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ