অবৈধ বাসস্ট্যান্ড সরাতে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা
Published: 7th, September 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংলগ্ন অবৈধ বাসস্ট্যান্ড অপসারণের দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা কাঁঠালতলা, বিজ্ঞান অনুষদ অতিক্রম করে রায়সাহেব বাজার পর্যন্ত যায়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
আরো পড়ুন:
৩ দাবিতে জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সংবাদ সম্মেলন
ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত
পদযাত্রায় শিক্ষার্থীরা ‘অবৈধ বাসস্ট্যান্ড থাকবে না’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, বাসস্ট্যান্ড নো মোর’, ‘ ক্যাম্পাস আর বাসস্ট্যান্ড একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাহাদুর শাহ পার্ক ও আশপাশে যত্রতত্র বাস পার্কিংয়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত তুশিন বলেন, “কয়েক দিন আগে আমাদের এক নারী সহপাঠী বাস চাপায় গুরুতর আহত হন। প্রতিদিন যানজটে পড়ে আমরা ক্লাসে দেরি করি। তাই অবৈধ বাসস্ট্যান্ড অপসারণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।”
পদযাত্রায় সংহতি জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোনোভাবেই অবৈধ বাসস্ট্যান্ড থাকতে পারে না। এটি শুধু যানজট নয়, চাঁদাবাজি আর মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হলেও কোনো সমাধান হয়নি। তাই এখন থেকে রায়সাহেব বাজার হয়ে কোনো বাস ক্যাম্পাস এলাকায় ঢুকতে পারবে না।”
এদিকে, রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.
এ সময় স্থায়ী সমাধানের জন্য ট্রাফিক বিভাগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বাস মালিক সমিতিকে যৌথভাবে একটি টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাতদিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররাফ হোসেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, লালবাগ জোনের ডিসি ট্রাফিক মো. মফিজুল ইসলাম, এসি ট্রাফিক মাহতাব হোসেন, সড়ক পরিবহন সমিতির নেতা গোলাম জিলানী চৌধুরী টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র পদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ