রংপুরে আত্মগোপনে থাকা নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা শাহিদ মাহমুদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা আবু সালেহ নাহিদকে।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৩ কৃষক

ভোলায় মাথার চুল কেটে নারীকে নির্যাতন, আটক ৪

গ্রেপ্তারকৃত শাহিদ নীলফামারী সদর উপজেলার খয়রাত হোসেন সড়ক থানাপাড়া এলাকার মৃত আনিস উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি যুবলীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাসহ নানা অভিযোগে নীলফামারী থানায় মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

রংপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শাহিদ আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আবু সালেহ নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রংপুর মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর খামার মোড় এলাকা থেকে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পান্থাপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২ ব্যাচের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড.

হারুন অর রশিদের করা মামলার ৩৫ নম্বর আসামি তিনি।

ওসি জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাহিদ। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ