Prothomalo:
2025-09-18@06:28:55 GMT

‘গাছের নিচেই লালন ভালো ছিল’

Published: 16th, September 2025 GMT

শুরুতে নজরুলগীতি চর্চায় মগ্ন থাকলেও বাবার অনুপ্রেরণায় গাইতে শুরু করলেন লালনগীতি এবং হয়ে উঠলেন লালনসংগীতের বিশিষ্ট শিল্পী। ইতিমধ্যে তিনি লালনের গান নিয়ে গেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি (২০০২ সালে) ঘুরে এলেন জাপান। মাসব্যাপী গান গেয়ে মাতিয়েছেন জাপানের বিভিন্ন শহর। কয়েক দিন আগে আনন্দের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন লালন, লালনের গান এবং নিজের কিছু কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুম অপু

প্রথম আলো :

সম্প্রতি মাসব্যাপী সফরে জাপান ঘুরে এলেন। শুরুতে আপনার এই দীর্ঘ সফর সম্পর্কে কিছু বলুন।

ফরিদা পারভীন: এটা ছিল আমার জীবনে একটা স্মরণীয় সফর। জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজন করে এই সফরের। যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফরিদা পারভীন প্রজেক্ট কমিটি। জীবদ্দশায় বাইরের কোনো দেশ আমাকে দিয়ে একটি প্রজেক্ট কমিটি গঠন করল। এটা তো আমার জন্য একটা স্মরণীয় ব্যাপার। কোনো জীবিত শিল্পীকে নিয়ে প্রজেক্ট কমিটি গঠন করা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বরং এশিয়া মহাদেশে এমন ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। জাপানিরা লালনের গানের প্রতি বিশেষভাবে আগ্রহী ছিল। অনেকে আছে লালনের গান শুনে শুনে বাংলা শিখেছে। তারা চেয়েছিল জাপানের বড় শহরগুলোসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমার গান অর্থাৎ লালনগীতি ছড়িয়ে দিতে। আমি তা–ই করেছি। প্রতিটি দিন বিভিন্ন স্থানে গান করেছি। পেয়েছি প্রচণ্ড সাড়া। আবেগভরে মানুষ লালনের গান শুনেছে। চোখের পানি ফেলেছে। জাপানিদের লালনের গানের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। যথেষ্ট সম্মান ও ভালোবাসা আমি পেয়েছি। রাস্তায় হাঁটছি একদিন। হঠাৎ এক জাপানিজ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। বলল, ‘তুমি ফরিদা পারভীন। তোমার গান শুনেছি। তোমার কাছে তো আধ্যাত্মিক শক্তি আছে।’ সত্যিকার অর্থে সফরটা ছিল পুরোপুরি সফল। যখন দেশে আসার জন্য রওনা দেব, তখন আয়োজকদের একজন বলছিলেন, ‘পারভীন, আপনার মাধ্যমে লালনের বীজ এই জাপানে বপন করলাম। আশা করি আপনি বেঁচে থাকতে থাকতে এর ফল ভোগ করে যাবেন।’

ফরিদা পারভীন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”

এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ