আলেপ্পোয় সিরীয় সেনাবাহিনী ও এসডিএফের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি
Published: 7th, October 2025 GMT
কয়েক দিন ধরে সংঘাত ও উত্তেজনার পর সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীর দুটি এলাকায় সিরীয় সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) মধ্যে নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা আজ মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।
আগের দিন সোমবার সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি সংঘর্ষ রেখায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফের বিরুদ্ধে আবার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এই পদক্ষেপ কোনো সামরিক অভিযানের পূর্বাভাস নয় বলে সেদিনই মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট করা হয়েছিল। তারা বলেছিল; বরং এসডিএফের বারবার হামলা ও ভূমি দখলের চেষ্টা ঠেকাতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সিরিয়ার বর্তমান সরকার ও এসডিএফের মধ্যে এ বছরের মার্চে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ওই চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মার্চের ওই চুক্তি অনুযায়ী, এসডিএফকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল।
সোমবার সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি সংঘর্ষ রেখায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফের বিরুদ্ধে পুনরায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে খণ্ড খণ্ড হয়ে পড়া দেশকে একত্র করা। সিরিয়ার এক-চতুর্থাংশ অঞ্চল এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে। মার্চের চুক্তির লক্ষ্য ছিল, কুর্দি নেতৃত্বাধীন এসডিএফ ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলোতে যেসব কুর্দি প্রশাসনিক সংস্থা রয়েছে, সেগুলোকে দামেস্কের সঙ্গে একীভূত করার পথ তৈরি করা।
আরও পড়ুনকুর্দিদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিরিয়া সরকারের সঙ্গে একীভূত করতে চুক্তি করলেন আল–শারা১১ মার্চ ২০২৫সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একটি চুক্তি সই করার পর করমর্দন করছেন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা এবং এসডিএফের প্রধান মাজলুম আবদি। সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) এ ছবিটি প্রকাশ করেছে। ১০ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি, আটক ৩
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বজলুল করিমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে একই গ্রামের বাসিন্দা সাথী খাতুনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
মোহনগঞ্জে মুদি দোকানদারকে গলাকেটে হত্যা
ভিন্ন ধর্মের একটি বিয়ে নিয়ে গাইবান্ধায় শোরগোল
আটক ডাকাত সদস্যরা হলেন- ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল, বইটাপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে রানা হোসেন ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের আবাইদুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহমেদ সাব্বির।
গ্রামবাসী জানান, মাদকদ্রব্য অভিযানের কথা বলে বজলুল করিমের বাড়িতে পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ করেন আটজন। এ সময় বাড়িতে বজলুলের স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ওই ব্যক্তিরা বাড়ির আলমারি ও শোকেজের ড্রয়ার ভেঙে ১৫-২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারীর চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে আসেন। পরে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে পালিয়ে থাকা তিন ডাকাতকে আটক করেন গ্রামবাসী। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটক ডাকাতদের থানায় নিয়ে যায়।
ডাকাতি হওয়া বাড়ির গৃহিনী রিজিয়া খাতুন বলেন, “৮ জনের একটি দল পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে আসে। তারা থানা থেকে এসেছে বলে জানায়। বাড়িতে গাঁজা নিয়ে কেউ প্রবেশ করেছে জানিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তারা। তাদের সবার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তারা আমাকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। পরে নিচে এসে দেখি, তারা আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রের ড্রয়ার ভেঙে ১৫ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ, নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন।”
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ডাকাত সদস্যকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ