নবদম্পত্তিদের ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ৫টি সুবিধা
Published: 14th, October 2025 GMT
বিয়ের পর নতুন জীবনের শুরুতে আর্থিক পরিকল্পনা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের বড় খরচের ধকল সামলে ওঠার পর ঘর সাজানো, ভ্রমণ, উপহার, উৎসবের খরচ—সব মিলিয়ে ব্যয় বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
আপনি যদি একটি মোটামুটি ভালো চাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য করে মোটামুটি সচ্ছলভাবে সংসার চালান। তাহলে বিয়ে–পরবর্তী খরচের চাপ সামলাতে আপনার জন্য পারসোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ ভালো সমাধান হতে পারে।
এটি নবদম্পতিকে দেয় তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা ও নমনীয় পরিশোধের সুযোগ। তবে ঋণ নেওয়ার আগে সুদের হার, ঋণ প্রক্রিয়াকরণ মাশুল, সুদসহ শোধের শর্ত ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি।
তবে বিয়ের পরের বাড়তি খরচ চালানোর জন্য ধারদেনা বা সঞ্চয় ভাঙার পরিবর্তে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা আছে। এর মধ্যে কিছু সুবিধা হলো—
১.
নিজের মতো খরচের স্বাধীনতা
ব্যাংক থেকে নেওয়া ব্যক্তিগত ঋণ কী উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের মতো খরচ করা যায়। এ ঋণের বড় সুবিধা হলো এর বহুমুখী ব্যবহার। নতুন দম্পতিরা এই টাকা দিয়ে ঘর সাজানো, হানিমুন, স্বর্ণ কেনা কিংবা আসবাব কেনাসহ কোনো খরচ মেটাতে পারেন। এমনকি গাড়ি কেনার জন্য অনেকে ব্যক্তিগত ঋণের টাকা ব্যবহার করতে পারেন।
২. জামানতের ঝামেলা নেই
ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত জামানতবিহীন। অর্থাৎ কোনো সম্পদ, স্বর্ণ বা জমি বন্ধক রাখতে হয় না।
নতুন দম্পতিদের জন্য এটি বড় সুবিধা। কারণ, বিয়ের পরপরই তাঁদের হাতে বড় কোনো সম্পদ না–ও থাকতে পারে। এতে ঝুঁকিমুক্তভাবে প্রয়োজনীয় টাকা পাওয়া যায়।
৩. দ্রুত অনুমোদন ও অর্থপ্রাপ্তি
বর্তমানে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কারণে ব্যক্তিগত ঋণ খুব দ্রুত অনুমোদন করে থাকে ব্যাংকগুলো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এবং ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে সাত কর্মদিবসের মধ্যেই ঋণের টাকা হাতে পাওয়া যায়। অনেক ব্যাংক ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই টাকা দেয়। এতে দম্পতিরা হঠাৎ প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে স্বস্তি পান।
৪. নমনীয় কিস্তি পরিশোধের সুযোগ
দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ৬০ মাস সময়ে কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দেয়। এবার আপনি ভেবে দেখুন, আপনার জন্য কিস্তির সময়সীমা কতটা উপযোগী। কিস্তি পরিশোধ কীভাবে করা হবে, তা–ও নজরে রাখতে হবে। যদি প্রতি মাসে ব্যাংক হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়, ভালো গ্রাহককে তা একধরনের স্বস্তি দেয়। অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তি পরিশোধ করা যায় কি না, তা বিবেচনায় আনতে হবে।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত ঋণে একেক ব্যাংকের সুদের হার একেক রকম। তাই কোন ব্যাংকে কম সুদ ও কিস্তি পরিশোধের সুবিধা—এসব বাছাই করে ঋণ নিতে হবে।
৫. সঞ্চয় বা বিনিয়োগ ভাঙার প্রয়োজন নেই
বিয়ের পর বাড়তি খরচ সামলাতে অনেক পরিবার সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ভেঙে ফেলে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়। কিন্তু পরিকল্পিত পারসোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেয়। এতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ অক্ষুণ্ন থাকে। নব দম্পতিরা তাঁদের আর্থিক স্থিতি বজায় রাখতে পারেন।
মনে রাখা দরকার
ব্যক্তিগত ঋণ সহজলভ্য হলেও এটি উচ্চ সুদের ঋণ। কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে জরিমানা হতে পারে। এ ধরনের ঋণ নেওয়ার আগে নব দম্পতিদের উচিত অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া। পাশাপাশি নিজের পরিশোধ সক্ষমতা অনুসারে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর শ ধ র স ব য় র পর ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নবদম্পত্তিদের ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ৫টি সুবিধা
বিয়ের পর নতুন জীবনের শুরুতে আর্থিক পরিকল্পনা করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ের বড় খরচের ধকল সামলে ওঠার পর ঘর সাজানো, ভ্রমণ, উপহার, উৎসবের খরচ—সব মিলিয়ে ব্যয় বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
আপনি যদি একটি মোটামুটি ভালো চাকরি কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য করে মোটামুটি সচ্ছলভাবে সংসার চালান। তাহলে বিয়ে–পরবর্তী খরচের চাপ সামলাতে আপনার জন্য পারসোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ ভালো সমাধান হতে পারে।
এটি নবদম্পতিকে দেয় তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা ও নমনীয় পরিশোধের সুযোগ। তবে ঋণ নেওয়ার আগে সুদের হার, ঋণ প্রক্রিয়াকরণ মাশুল, সুদসহ শোধের শর্ত ভালোভাবে যাচাই করা জরুরি।
তবে বিয়ের পরের বাড়তি খরচ চালানোর জন্য ধারদেনা বা সঞ্চয় ভাঙার পরিবর্তে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা আছে। এর মধ্যে কিছু সুবিধা হলো—
১. নিজের মতো খরচের স্বাধীনতা
ব্যাংক থেকে নেওয়া ব্যক্তিগত ঋণ কী উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের মতো খরচ করা যায়। এ ঋণের বড় সুবিধা হলো এর বহুমুখী ব্যবহার। নতুন দম্পতিরা এই টাকা দিয়ে ঘর সাজানো, হানিমুন, স্বর্ণ কেনা কিংবা আসবাব কেনাসহ কোনো খরচ মেটাতে পারেন। এমনকি গাড়ি কেনার জন্য অনেকে ব্যক্তিগত ঋণের টাকা ব্যবহার করতে পারেন।
২. জামানতের ঝামেলা নেই
ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত জামানতবিহীন। অর্থাৎ কোনো সম্পদ, স্বর্ণ বা জমি বন্ধক রাখতে হয় না।
নতুন দম্পতিদের জন্য এটি বড় সুবিধা। কারণ, বিয়ের পরপরই তাঁদের হাতে বড় কোনো সম্পদ না–ও থাকতে পারে। এতে ঝুঁকিমুক্তভাবে প্রয়োজনীয় টাকা পাওয়া যায়।
৩. দ্রুত অনুমোদন ও অর্থপ্রাপ্তি
বর্তমানে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কারণে ব্যক্তিগত ঋণ খুব দ্রুত অনুমোদন করে থাকে ব্যাংকগুলো। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে এবং ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা পূরণ করতে পারলে সাত কর্মদিবসের মধ্যেই ঋণের টাকা হাতে পাওয়া যায়। অনেক ব্যাংক ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই টাকা দেয়। এতে দম্পতিরা হঠাৎ প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে স্বস্তি পান।
৪. নমনীয় কিস্তি পরিশোধের সুযোগ
দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ৬০ মাস সময়ে কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দেয়। এবার আপনি ভেবে দেখুন, আপনার জন্য কিস্তির সময়সীমা কতটা উপযোগী। কিস্তি পরিশোধ কীভাবে করা হবে, তা–ও নজরে রাখতে হবে। যদি প্রতি মাসে ব্যাংক হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়, ভালো গ্রাহককে তা একধরনের স্বস্তি দেয়। অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তি পরিশোধ করা যায় কি না, তা বিবেচনায় আনতে হবে।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত ঋণে একেক ব্যাংকের সুদের হার একেক রকম। তাই কোন ব্যাংকে কম সুদ ও কিস্তি পরিশোধের সুবিধা—এসব বাছাই করে ঋণ নিতে হবে।
৫. সঞ্চয় বা বিনিয়োগ ভাঙার প্রয়োজন নেই
বিয়ের পর বাড়তি খরচ সামলাতে অনেক পরিবার সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ভেঙে ফেলে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়। কিন্তু পরিকল্পিত পারসোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেয়। এতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ অক্ষুণ্ন থাকে। নব দম্পতিরা তাঁদের আর্থিক স্থিতি বজায় রাখতে পারেন।
মনে রাখা দরকার
ব্যক্তিগত ঋণ সহজলভ্য হলেও এটি উচ্চ সুদের ঋণ। কিস্তি পরিশোধে দেরি হলে জরিমানা হতে পারে। এ ধরনের ঋণ নেওয়ার আগে নব দম্পতিদের উচিত অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া। পাশাপাশি নিজের পরিশোধ সক্ষমতা অনুসারে ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।