বাগেরহাটের কচুয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় জাহিদুল ইসলাম মিন্টু (৪৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সোয়া তিনটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি কচুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুই বিয়ের কারণে জাহিদুলের পারিবারিক অশান্তি চলছিল। সোমবার গভীর রাতে শিবপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাড়ির বাইরে থেকে ৮–১০ জন এসে জাহিদুলকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেন পরিবারের সদস্যরা। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঢ়িপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সরদার রেজাউল হোসেন বলেন, ‘তিনি যুবদলের কর্মী ছিলেন। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.

শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়েছে আফগানিস্তান। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করেছে। জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল আফগানদের। উদ্বোধনী জুটিতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান তোলেন ৯৯ রান। এই রানে গুরবাজ ফিরেন ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে।

আরো পড়ুন:

পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ

শেষ হলো বাকৃবিতে কৃষিতে বালাই ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সেখান থেকে ইব্রাহিম ও সেদিকুল্লাহ অটল গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ১৭৩ রানের মাথায় অটল ফিরেন ৩ চারে ২৯ রান করে। এরপর অবশ্য দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় আফগানরা, নিয়মিত বিরতিতে। ১ উইকেটে ১৭৩ থেকে তাদের রান হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৮৮। অবশ্য একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও অপর প্রান্ত আগলে খেলেন ইব্রাহিম। তিনি ১১১ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ রানের ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। 

এরপর আজমত উল্লাহ ওমরজাইর ২০ ও মোহাম্মদ নবীর ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তান ২৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পায়।

বল হাতে বাংলাদেশের সাইফ হাসান ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তানভীর ইসলাম ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর ৬ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ