বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে রেকর্ড-গড়া জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু রোনালদোর জোড়া গোলও নিশ্চিত করতে পারেনি পর্তুগালের বিশ্বকাপ। ২-২ গোলের ড্রয়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পর্তুগালকে।

রোনালদোরা না পারলেও ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে গতকাল রাতেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। যারা লাটভিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে। জয় পেয়েছে চাপে থাকা ইতালিও। ইসরায়েলকে ‘আজ্জুরি’রা হারিয়েছে ৩-০ গোলে। আর ৪-০ গোলের দারুণ জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে পৌঁছে গেল স্পেন।

রোনালদোর রেকর্ডের পরও অপেক্ষায় পর্তুগাল

হাঙ্গেরির বিপক্ষে জিতলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত। এমন সমীকরণে মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৮ মিনিটে আতিলা সালাইয়ের গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। তবে ২২ মিনিটে ও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে পর্তুগালকে লিড এনে দেন রোনালদো। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল এই ব্যবধান ধরে রেখেই হয়তো বিশ্বকাপের তীরে নোঙর ফেলবে পর্তুগিজরা।

আরও পড়ুনফুটবলে প্রথম বিলিয়নিয়ার রোনালদো, মোট সম্পদ কত জানেন কি০৮ অক্টোবর ২০২৫

যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে দমিনিক সোবোসলাইয়ের গোলে পর্তুগালকে রুখে দেয় হাঙ্গেরি। ২-২ গোলের এ ড্রয়ে এখন বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে পতুর্গালকে। ‘এফ’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে পর্তুগালের পয়েন্ট ৩ জয় ও এক ড্রয়ে ১০। সমান ম্যাচে হাঙ্গেরির পয়েন্ট ৫। পর্তুগালই আছে গ্রুপের শীর্ষে।

পর্তুগালের বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত না হলেও রোনালদো জোড়া গোলে আরেকটি অনন্য উচ্চতা স্পর্শ করলেন। এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এককভাবে সবচেয়ে বেশি গোল রোনালদোর। এত দিন পর্যন্ত এ তালিকায় যৌথভাবে সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো এবং গুয়াতেমালা ও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কিংবদন্তি ফুটবলার কার্লোস রুইজ। দুজনের গোল ছিল ৩৯। কিন্তু আজ গোল করে রোনালদো ছাড়িয়ে গেলেন রুইজকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন ৪০ পেরোনো রোনালদোর গোল ৫১ ম্যাচে ৪১টি। আর সব মিলিয়ে রোনালদোর গোল এখন ৯৪৮।

ইংল্যান্ড তারকাদের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ন শ চ ত ন শ চ ত কর পর ত গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজ, প্রতিশ্রুতির কী প্রয়োজন, আমরা তো সুনীলের কবিতায়ই শিখেছি

রশিদ খান। নাহ্‌, আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান নন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং আর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কথা শুনে মনে পড়ে গেল শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী রশিদ খানের কয়েকটি কথা। প্রয়াত ওস্তাদ রশিদ খান কথাগুলো এই প্রতিবেদককেই একবার বলেছিলেন বৈঠকি ঢঙে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

শচীন টেন্ডুলকারের পাঁড় ভক্ত রশিদ খান শৈশবে ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর মামা নিসার হুসেইন খান তাঁকে সে পথে হাঁটতে দেননি। একপ্রকার জোর করেই নিজেদের গড়া সংগীতরাজ্যে ঢুকিয়ে দেন রশিদ খানকে। শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় সংগীতকার হয়েও রশিদ খান ক্রিকেটকে অন্তর থেকে মুছে ফেলতে পারেননি; বরং তিনি ক্রিকেট আর সংগীতকে দেখেছেন একই রূপে!

যে সাক্ষাৎকারের কথা বলা হলো, সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটটা সংগীতের মতোই। একেকটা কাভার ড্রাইভ, পুল, হুক—এগুলো তো সংগীতের বিভিন্ন ধারার মতোই রেশমি পরশ নিয়ে এগিয়ে চলে।’ সংগীত আর ক্রিকেটকে এক বিন্দুতে মেলানোর আলোচনায় তিনি আরেকটি বেশ মজার উদাহরণ টেনেছিলেন, ‘দেখুন, এটা অনেকটা গানের মতোই। একটি গানের তিনটি ভাগ যদি আপনি করেন, কী আছে সেখানে? আভোগ, অন্তরা, স্থায়ী।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ