গাজা যুদ্ধে কে ‘জয়ী’ হলো, কে ‘বিজয়ী’ হলো?
Published: 15th, October 2025 GMT
যুদ্ধ শেষ হয়েছে—অন্তত গাজাবাসীর তা-ই ধারণা। বিমানের চক্কর থেমেছে। কামানের গর্জন স্তব্ধ। রাত নামলেও গাজা ঘুমায়নি। যেন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষ উঠে আসছে। যেন মৃতদেহ হঠাৎ পুনর্জীবন পেয়েছে।
তারা ফিরে এল। তারা প্রথমেই বুকে করে নিয়ে এল নিজের মাতৃভূমিকে; তারপর নিজের সামান্য বেঁচে যাওয়া টুকটাক জিনিসপত্র।
বিশ্ব এমন দৃশ্য আগে দেখেনি। পুরুষেরা ঘরবাড়ির দোরগোড়ায় ধুলো ঝাড়ছে। নারীরা সাগরের পানি দিয়ে ভাঙা পাথর ধুচ্ছে। শিশুরা ধ্বংসস্তূপের ফাঁকে দৌড়াচ্ছে। কেউ হারানো বল খুঁজছে। কেউ খুঁজছে আগুন থেকে বেচে যাওয়া কোনো অদগ্ধ বই।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেন মৃত্যু বদলে গেল জীবনে। ধ্বংস বদলে গেল সৃষ্টিতে। নিস্তব্ধতা বদলে গেল মানুষের কর্মমুখরতায়।
মানবতার এমন পুনর্জন্ম পৃথিবী কমই দেখেছে। মনে হলো, গাজা যেন কবর থেকে উঠে ঘোষণা দিচ্ছে—‘আমি বেঁচে উঠেছি আবারও!’
গাজাবাসীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে ফিরেছে, মাথা নত করেনি, আশা হারায়নি।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌরজগতে থাকা রহস্যময় বস্তু নিয়ে কৌতূহল
সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুটির বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই রহস্যময় বস্তু কক্ষপথের নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেডনয়েড নামের বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত বস্তুটি নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।
তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন। বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না। এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটি প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে। অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায় বিজ্ঞানীদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে। তারা নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। অন্য কোনো শক্তি বহু বছর আগে এদের দূরে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হয়।
অ্যামোনাইট আবিষ্কারের ফলে সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত হলো। প্রতিটি বস্তুই সৌরজগতের বাইরের অংশের গঠন ও বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে, সেই ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ইয়িং-টুং চেন বলেন, অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।
সূত্র: আর্থ ডটকম