প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ইস্যুতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যারা থাকবেন
Published: 15th, October 2025 GMT
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশের ওপর অংশীজনের মতামত গ্রহণের জন্য মতবিনিময় সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০ অক্টোবর এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভার নোটিশে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র খসড়া অধ্যাদেশটির ওপর অংশীজনের মতামত গ্রহণের নিমিত্ত এক মতবিনিময় সভা ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বেলা তিনটায় শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে (কক্ষ নম্বর-১৮১৫, ভবন-৬) সভায় বসবেন তাঁরা। সভায় উপস্থিত থাকতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান, ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ), অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়), যুগ্ম সচিব (বিশ্ববিদ্যালয় অধিশাখা-২), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসক, বাকি ছয় কলেজের অধ্যক্ষ, সব কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভাপতি, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং উপযুক্ত প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়া দেবে ৩০০ স্কলারশিপ, আবেদন শেষ ১৬ অক্টোবর১০ ঘণ্টা আগেঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে সরকার। প্রস্তাবিত এই কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে গত সোমবার ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে একপর্যায়ে ইতিহাস বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপককে হেনস্তা ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একজন ছাত্রকে মারধর এবং কলেজের শিক্ষক লাউঞ্জ ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আবার আরেক পক্ষের অভিযোগ, স্নাতকের (সম্মানের) এক শিক্ষার্থীর ওপর হাত তোলা হয়েছে এবং এক ছাত্রের পা ভেঙে যায়। এ পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রকে মারধর ও শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্ররা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে জড়ো হয়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুনএইচএসসি–২০২৫ পরীক্ষার ফল অনলাইনে, শিক্ষার্থীরা পাবেন যেভাবে ১৩ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন ট র ল ইউন ভ র স ট প রস ত ব ত ব শ বব দ য কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত
‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবির হলে র্যাগিং: ১৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন
সাইন্টিফিক বিযিনেস: বাঙালির কলুষিত মনস্তত্ত্ব
‘যুব উৎসব ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিল- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে, প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে নয়টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’, ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিল। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিল না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তনই হলো একমাত্র স্থির।”
তিনি বলেন, “তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন, সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারে সে জন্য আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী