আরও পাঁচটি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
Published: 15th, October 2025 GMT
নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৮।
পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে সাভারের পাকিজা নিট কম্পোজিট, টঙ্গী বিসিকের ফ্যাশন প্লাস, ঢাকা ইপিজেডের গাভা প্রাইভেট লিমিটেড, চট্টগ্রামের ভিজুয়াল নিটওয়্যারস ও টালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
নতুন সনদ পাওয়া পাঁচ কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম আর দুটি লিড গোল্ড পেয়েছে। প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে পাকিজা নিট কম্পোজিট, ফ্যাশন প্লাস ও গাভা প্রাইভেট লিমিটেড। অন্যদিকে ভিজুয়াল নিটওয়্যারস ও টালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড পেয়েছে লিড গোল্ড সনদ।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বাংলাদেশের যে ২৬৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১১৪টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৫টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউএসজ ব স সনদ প য় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে র্যাংকিংয়ের চূড়ায় রশিদ-ওমরজাই
আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান আবারও উঠে এসেছেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। শুধু তাই নয়, অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আর ইব্রাহিদ জাদরান ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে উঠেছেন দ্বিতীয় স্থানে। আবুধাবিতে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পরই আইসিসির সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে এই সুখবর পেয়েছেন তারা।
রশিদ শেষবার এক নম্বরে উঠেছিলেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে। এবার বাংলাদেশ সিরিজে তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর। তিন ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট, গড় মাত্র ৬.০৯, আর ইকোনমি রেট মাত্র ২.৭৩। তার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই তিনি ষষ্ঠ স্থান থেকে উঠে এসে ৭১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আবারও শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজের চেয়ে পুরো ৩০ পয়েন্ট এগিয়ে।
আরো পড়ুন:
এবার বিপিএলে রেভেনিউ শেয়ারিং মডেল, ১৭ নভেম্বর ড্রাফট
নোমানের জাদুতে লাহোরে পাকিস্তানের দাপুটে জয়
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাট হাতে ঝলসে উঠেছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তিন ইনিংসে করেছেন ২১৩ রান, গড়ে ৭১। যা তাকে এনে দিয়েছে সিরিজসেরার পুরস্কার। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আট ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। যা আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটারের জন্য সর্বোচ্চ অবস্থান। শীর্ষে আছেন ভারতের শুভমান গিল, যার চেয়ে ইব্রাহিম এখন মাত্র ২০ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে। তৃতীয় স্থানে থাকা রোহিত শর্মার চেয়ে তিনি এগিয়ে আছেন ৮ পয়েন্টে।
রশিদ ও জাদরানের মতোই অলরাউন্ডার তালিকাতেও আফগানিস্তানের জয়জয়কার। আজমাতউল্লাহ ওমরজাই আবারও ফিরে এসেছেন এক নম্বর অলরাউন্ডারের আসনে। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাকে টপকে এই অবস্থানে ফেরেন তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে ওমরজাই নিয়েছেন ৭ উইকেট (সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) এবং ব্যাট হাতে করেছেন ৬০ রান। ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্তও তিনি এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন, এবার আবারও নিজের জায়গা ফিরে পেলেন।
এদিকে ভারতের বোলার কুলদীপ যাদব অর্জন করেছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা র্যাংকিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে ১২ উইকেট নিয়ে তিনি সাত ধাপ এগিয়ে পৌঁছেছেন ১৪তম স্থানে।
এই সিরিজেই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। দিল্লি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তিনি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সপ্তম থেকে উঠে এসেছেন পঞ্চম স্থানে।
রশিদ, ওমরজাই ও জাদরানের এই উত্থান প্রমাণ করছে আফগানিস্তান আর শুধু ‘আশ্চর্যের দল’ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন নাম।
ঢাকা/আমিনুল