কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা বিভাগ বনাম ইংরেজি বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। ম্যাচে ইংরেজি বিভাগকে ৪- ১ গোলে হারিয়ে বাংলা বিভাগ জয়লাভ করে। 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী।

আরো পড়ুন:

হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরল বাংলাদেশ

পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “খেলোয়াড় সুলভ আচরণের মাধ্যমেই খেলা সম্পন্ন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সুষ্ঠুভাবে খেলা সম্পন্ন হবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের দল গঠনের পরিকল্পনাও রয়েছে।”

ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “খেলাধুলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা ভালো খেলবে, ভালো খেলা দেখবে। খেলাধুলার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মন হয় বড়, মানসিকতা হয় উন্নত। আর সেই মনোভাব যেন মাঠে প্রতিফলিত হয়।”

তিনি বলেন, “সৌহার্দ্যের জন্য খেলা, বন্ধুত্বের জন্য খেলা, বিরোধিতার জন্য নয়। খেলোয়াড়দের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে খেলা সম্পন্ন করে এবং মাঠে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে খেলা চালিয়ে যায়।”

এবারের টুর্নামেন্টে ১৯টি বিভাগ অংশগ্রহণ করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত

‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অংশের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে এ সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জাবির হলে র‍্যাগিং: ১৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন

সাইন্টিফিক বিযিনেস: বাঙালির কলুষিত মনস্তত্ত্ব

‘যুব উৎসব ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন।

এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিল- ‘কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।’

অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়।

এর আগে, প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে নয়টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়। 

প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘আইডিআরওএফ’, ফার্স্ট রানার আপ টিম ‘ডেল্টা ২১০০’ এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম ‘বিএইউ-নোভা’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিল। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদের আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিল না। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখন এই যে পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তনই হলো একমাত্র স্থির।”

তিনি বলেন, “তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন, সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারে সে জন্য আমরা দেশব্যাপী এই সুযোগটি রেখেছি। লিডারশিপ, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ইস্যুতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যারা থাকবেন
  • বিইউপির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১০ নভেম্বর
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ অক্টোবর ২০২৫)
  • ২০২৫ সালে নোবেল পুরস্কার পেলেন যারা
  • সায়েন্সল্যাবে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 
  • বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে নেবে ৪০ জন, চাকরি পেতে করুন আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ অক্টোবর ২০২৫)
  • বাকৃবিতে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত