ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান ডাকসু ভিপির
Published: 15th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ফ্রম অ্যাপার্টহেইড টু ডেমোক্রেসি: সাউথ আফ্রিকান ইনসাইটস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ভবিষ্যৎ কর্মনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বাংলাদেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
জাতীয় পলিসি হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন বেরোবি শিক্ষার্থীরা
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক সংসদ সদস্য ও আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের আলোচক মোহাম্মদ ভাবা বলেন, “স্বপ্ন পূরণ করার জন্য গঠনমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে — ভাঙনমূলক নয়।” তিনি অতীত সংগ্রামের শিক্ষা থেকে শেখা এবং সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, “বাংলাদেশে প্রয়োজন ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ নয়, বরং ‘ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন’, যেখানে ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর শোনা হবে এবং সত্যের মাধ্যমে ভিক্টিমরা পুনর্বাসনের পথে এগোবে।”
তিনি বলেন, “ডাকসু ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এমন একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে, যেখানে অভিজ্ঞতা মুক্তভাবে শেয়ার করে সত্য, দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্টি সরকারের প্রধান আলোচক রোলফ মেয়ার বলেন, “সংবিধানের মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি সংবিধান ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণকে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
জাগরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শরীফ বান্না বলেন, “ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার ভিত্তিতেই দেশকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। সহমর্মিতার মাধ্যমে আশার সৃষ্টি হয়, সেই আশাই ছিল স্বৈরাচারকে প্রত্যাখ্যান করানোর মূল শক্তি। সেই একই আশা নিয়ে দেশ পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।”
ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা সমসাময়িক রাজনৈতিক সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে সংবিধানিক কর্তৃত্ব, সমাজিক সংহতি ও আরোগ্যপূর্ণ পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট নীতি রচনার মাধ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান ডাকসু ভিপির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ফ্রম অ্যাপার্টহেইড টু ডেমোক্রেসি: সাউথ আফ্রিকান ইনসাইটস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ভবিষ্যৎ কর্মনীতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বাংলাদেশে একটি ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন গঠনের আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
জাতীয় পলিসি হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন বেরোবি শিক্ষার্থীরা
জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক সংসদ সদস্য ও আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের আলোচক মোহাম্মদ ভাবা বলেন, “স্বপ্ন পূরণ করার জন্য গঠনমূলক রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে — ভাঙনমূলক নয়।” তিনি অতীত সংগ্রামের শিক্ষা থেকে শেখা এবং সামাজিক ঐক্য বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, “বাংলাদেশে প্রয়োজন ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’ নয়, বরং ‘ট্রুথ অ্যান্ড হিলিং কমিশন’, যেখানে ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর শোনা হবে এবং সত্যের মাধ্যমে ভিক্টিমরা পুনর্বাসনের পথে এগোবে।”
তিনি বলেন, “ডাকসু ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এমন একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে, যেখানে অভিজ্ঞতা মুক্তভাবে শেয়ার করে সত্য, দায়বদ্ধতা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্টি সরকারের প্রধান আলোচক রোলফ মেয়ার বলেন, “সংবিধানের মাধ্যমেই আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি সংবিধান ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণকে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
জাগরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শরীফ বান্না বলেন, “ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার ভিত্তিতেই দেশকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। সহমর্মিতার মাধ্যমে আশার সৃষ্টি হয়, সেই আশাই ছিল স্বৈরাচারকে প্রত্যাখ্যান করানোর মূল শক্তি। সেই একই আশা নিয়ে দেশ পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।”
ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা বলেন, “পারস্পরিক আলোচনা ও জ্ঞান-বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হতে পারবে।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা সমসাময়িক রাজনৈতিক সংকট থেকে শিক্ষা নিয়ে সংবিধানিক কর্তৃত্ব, সমাজিক সংহতি ও আরোগ্যপূর্ণ পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন এবং সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট নীতি রচনার মাধ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী