ত্বকের সৌন্দর্য নির্ভর করে এর পুনর্গঠনের ওপর। ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন কমে গেলে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে আর টানটান ভাব হারিয়ে যায়। যাদের হজম শক্তি ভালো তাদের ত্বক তুলনামূলক কোমল হয়ে থাকে। এ ছাড়া মানসিকভাবে ভালো বোধ করলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বকে। মানসিকভাবে ভালো রাখার পাশাপাশি হজম শক্তি উন্নত করে ত্বক পনর্গঠনে সহায়তা দিতে পারে সফেদা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘সকালে বা দুপুরে সফেদা খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। কারণ তখন শরীর শক্তি সবচেয়ে ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।’’
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
নিজেকে সক্রিয় রাখা কেন জরুরি
জার্নাল অব ডার্মাটোলজিকাল রিসার্চ-এর তথ্য, ‘‘সফেদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।’’
সফেদায় থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই–এর সমন্বয় ত্বকের পুনর্গঠনে কাজ করে। এটি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে।
একটি পুষ্ট ও পরিপক্ব সফেদায় রয়েছে— ১৪১ গ্রাম ক্যালরি, ৩৪ গ্রাম শর্করা, ১.
সফেদাকে ‘ন্যাচারাল এনার্জি বুস্টার’ বলা হয় কারণ এতে থাকে গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ—তিন ধরনের প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। সফেদায় থাকা এই প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ক্লান্তি দূর করে ও মস্তিষ্কে এনার্জি সরবরাহ করে।
অন্যান্য ফলের তুলনায় সফেদায় আছে এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ায়। এটি স্নায়ু শান্ত রাখতে সাহায্য করে, সুখের অনুভূতি তৈরি করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
সূত্র: ভেরিওয়েলফিট, জার্নাল অব নিউরোসাইকোলজিকাল হেলথ
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন যত ন
এছাড়াও পড়ুন:
৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
সিএমএসএমই ঋণ সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের কার্ড থেকে নগদ, বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন সুবিধা
তিনি জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণে রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বাজার থেকেই ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। নিলামের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই প্রাইসেই ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে ডলার কেনার ফলে বাজারে তারল্য বাড়ছে, আর রিজার্ভে যোগ হচ্ছে নিলামে কেনা ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট দুই হাজার ১২৬ মিলিয়ন ডলার ক্রয় করেছে। এসব ডলার দেশের ব্যাংকগুলো থেকে মাল্টিপল অকশন পদ্ধতিতে কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ দফায় ডলার কিনেছিল। এর মধ্যে গত ৬ অক্টোবর ৮টি ব্যাংক থেকে নিলামে ১৪০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি ব্যাংক থেকে নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ১৩৪ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ২ সেপ্টেম্বর একই দরে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ ব্যাংক থেকে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে, ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে, একই দরে গত ১৫ জুলাই ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া গত ২৩ জুলাই ডলার কিনেছে ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে। গত ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় এবং গত ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বাড়ায় ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, চাহিদা কমেছে। এ কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমে গেছে। আর ডলারের দাম আরও কমে গেলে রপ্তানিকারকরা একদিকে সমস্যায় পড়বে অপরদিকে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে আসা কমে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যা খুবই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। তাতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল থাকবে ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সঙ্গে আলোচনার পর ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক নিজেরাই ডলারের দর নির্ধারণ করছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ