সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুটপাটের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ (আলফু) আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থেকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে ভেঙে ফেলেন। একই সময়ে ওয়াদুদের ছেলে আরেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল ওয়াদুদ সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা, ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং একই উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আবদুল ওয়াদুদকে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীসহ লোকজন আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। পরে বিশালের মুঠোফোনে থাকা ভিডিও চিত্রটি মুছে সেটি আবার ফিরিয়ে দেন বায়জিদ। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়ন সরকার বলেন, মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর মুঠোফোনটি আসামি ভেঙে ফেলেছেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকেরা অনেকটা কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি তাঁদের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল। অনেকেই ভিডিও করছিলেন। কারা সাংবাদিক, কারা আসামির লোকজন, সেটি জানার উপায় ছিল না।

এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাদাপাথর লুট–কাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় কাজী আবদুল ওয়াদুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ। তিনি বলেন, সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওয়াদুদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ঠ ফ নট এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাত্র ফেডারেশনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সোনারগাঁওয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সোনারগাঁও আঞ্চলিক কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিন ছাত্র ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ সোনারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

পাশাপাশি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ছিল সোনারগাঁও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সোনারগাঁও মেরিট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও জিআর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্বেচ্ছাসেবক (ভলেন্টিয়ার) সংগ্রহ কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়।

কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক ফয়সাল হোসেন, নাজমুল হাসান শান্ত, আরিয়ান আহমেদ জুনায়েদ, সফিউল্লাহসহ সোনারগাঁও শাখার নেতৃবৃন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা সাইদুর রহমান, গণসংহতি আন্দোলন সোনারগাঁও শাখার সম্পাদক মোবাশ্বির হোসাইন ও যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম হিমেল।

এ সময় ছাত্র নেতা সাইদুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি আমাদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার প্রতিফলন। প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে—পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার ও মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে।

পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। ছাত্র সমাজ এই সচেতনতা তৈরিতে মাঠে আছে এবং থাকবে। স্বাস্থ্যই মানুষের মৌলিক অধিকার, এ অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের আন্দোলনের অংশ।”
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ