ইপিজেডে কারখানার আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কাজ করছে ১৯টি ইউনিট
Published: 16th, October 2025 GMT
চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ও নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আগুন নিন্ত্রয়ণে আসেনি। এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে আজ বেলা দুইটার দিকে ওই এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউন তৈরির কারখানা। কারখানার ভবনটি সাত তলার। দুটি কারখানার গুদামই সাত তলায়, যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর সদস্য আগুন নেভাতে কাজ করছেন। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কালো ধোঁয়া। আগুন ধীরে ধীরে ছয় ও পাঁচতলায় ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন দেখতে অনেকেই ভবনটির আশপাশে ভিড় করেছেন। তাঁদের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সরিয়ে দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে একজন নারী শ্রমিককে গাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। শ্রমিকদের ধারণা ওই নারী আগুনের ধোঁয়ায় আহত হয়ে থাকতে পারেন।
সিইপিজেড সূত্র জানায়, ভবনটিতে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাঁদের কেউ আহত হননি বলে জানান চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান।
জানতে চাইলে আবদুস সুবাহান প্রথম আলোকে বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই এ ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, যে জায়গা থেকে আগুনের সূত্রপাত, সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ। তিনি পাঁচতালায় কাজ করতেন। দুপুরে খাওয়ার পর তিনি ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার করে ওপর থেকে অনেককে নামতে দেখেন। এ চিৎকার শুনে তিনিসহ সবাই দৌড়ে নিচে নেমে আসেন।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির সুপারভাইজার ফাহিমুল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি চারতলায় ছিলাম। দুপুরের দিকে তিনি হঠাৎ জরুরি অ্যালার্ম বাজতে শুনি। এরপর জানতে পারি, আগুন লেগেছে। শুরুতে আগুন কম ছিল। এখন বেড়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রথম আলাকে বলেন, ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। কারখানার মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাল ভোট, চলছে রাকসু ভবন প্রস্তুতের কাজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন রাত পোহালেই। শেষ মুহুর্তে চলছে রাকসু ভবন প্রস্তুতের কাজ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভবনটির ১৩টি কক্ষ প্রস্তুত করতে অন্তত ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ১০ সদস্যের কমিটি
রাকসু: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা আমান
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে রাকসুর দোতলা ভবন। ভবনে রাকসুর ভিপি হিসেবে সবশেষ নিজের কক্ষে বসেছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯০-১৯৯১ সালের জন্য। পরের বছর নির্বাচন না হওয়ায় ১৯৯১-১৯৯২ মেয়াদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তারপর আর কোনো ভিপি পায়নি রাকসু ভবন।
রাকসু অচল হয়ে পড়ায় এতদিন ভবনটির কক্ষ ব্যবহার করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। দোতলায় ভিপির কক্ষটি ব্যবহার হচ্ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয় হিসেবে। কয়েকদিন হলো সব সংগঠনকেই ভবন ছাড়তে হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ভবনটিতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঘষামাজার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ দেয়ালগুলো নতুন রঙ করার কাজও শুরু করেছেন।
শ্রমিকরা জানান, বুধবার সকালেই তারা কাজ শুরু করেছেন। তাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
আব্দুল ওয়াহাব নামের একজন ঠিকাদার জানান, তারা মোট পাঁচজন ঠিকাদার কাজ করছেন। মঙ্গলবার রাতে তাদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে তারা ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে রাতেও তারা কাজ করবেন। শুক্রবার সকালের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন।
ভবনের দোতলার বারান্দায় কেন্দ্রীয় সংসদের অনার বোর্ডটি চোখে পড়ল। এতে দেখা যায়, ১৯৭২-৭৩ সালে হায়দার আলী, ১৯৭৩-৭৪ সালে নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ১৯৭৪-৭৫ সালে ফজলুর রহমান পটল, ১৯৮০-৮১ সালে ফজলে হোসেন বাদশা ও ১৯৮৯-৯০ সালে রাগিব আহসান মুন্না ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ১৯৯০-৯১ সালের জন্য ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। পরে আর নির্বাচন না হওয়ায় ১৯৯১-৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বৃহস্পতিবার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
ঢাকা/কেয়া/মেহেদী