চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যাচ্ছিল সিলেটের উদ্দেশে। পথে কাপলিংক ছিঁড়ে ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বগি। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা স্টেশন অতিক্রম করার পর মোমিনছড়া চা বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনার শিকার হয় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর কাপলিংক মেরামত করা হলে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। 

আরো পড়ুন:

বরিশালে বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহত

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল বাবার, গুরুতর আহত ছেলে

এ দুর্ঘটনার কারণে সিলেট-ঢাকা রুটের পারাবত এক্সপ্রেস ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও রেলস্টেশনে আটকা পড়েছিল।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে সিলেট অভিমুখী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন আনুমানিক সাড়ে ৩টার সময় কুলাউড়া স্টেশন ছেড়ে যায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেনটি ভাটেরা স্টেশন অতিক্রম করে মোমিনছড়া চা বাগান এলাকায় গেলে হঠাৎ করে কাপলিংক ছিঁড়ে যায়।

পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহেল সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বিকট শব্দে কাপলিংক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ট্রেনটি থেমে যায়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

কুলাউড়া জংশন স্টেশনের মাস্টার রুমান আহমদ জানিয়েছেন, কুলাউড়া থেকে প্রকৌশলীদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রেনটি মেরামত করেছে। পরে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি। 

ঢাকা/আজিজ/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

বল এখন তালেবানের কোর্টে: পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, কাবুল যদি ইসলামাবাদের ‘ন্যায্য’ শর্ত পূরণে সম্মত হয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনায় প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

সীমান্তে নতুন করে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বুধবার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানিয়েছে, তালেবানের অনুরোধে এবং পারস্পরিক সম্মতিতে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জানিয়েছেন, আফগান পক্ষ যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছে এবং একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে। 

তিনি বলেন, “গতকাল আমরা ৪৮ ঘন্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি (এবং) বার্তা পাঠানো হয়েছে যে তারা যদি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য শর্ত পূরণ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। বল তাদের কোর্টে।”

পাকপ্রধানমন্ত্রী জানান, যদি আফগান পক্ষ আন্তরিক হয় এবং গুরুত্ব দেয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেবে। পাকিস্তানের মিত্র দেশগুলো, বিশেষ করে কাতারও পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে সমাধান করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে আফগান মাটি থেকে ফিতনা আল-খাওয়ারিজ নির্মূল করা যাতে প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ড আর সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যবহৃত না হয়।

ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ শব্দটি রাষ্ট্র নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের জন্য ব্যবহার করে ইসলামাবাদ।

প্রসঙ্গত, বুধবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে আবারও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১২ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে কাবুলের তালেবান প্রশাসন। এর আগে গত রবিবার আফগানিস্তানের উত্তর সীমান্তের একাধিক পাহাড়ি স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের উপর আক্রমণ করেছিল তালেবান। এই হামলায় পাকিস্তানের ৫৮ সেনা নিহত হয়।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ