খাবারের আগে না পরে- কখন তরমুজ খাওয়া উপকারী?
Published: 26th, April 2025 GMT
গ্রীষ্মের মৌসুমী ফল তরমুজ খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। এই ফলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পানি থাকে, যা সরাসরি ডিহাইড্রেশন থেকে শরীরকে রক্ষা করে। গ্রীষ্মে প্রতিদিন তরমুজ খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয় না এবং মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার সম্ভাবনাও কমে। নিয়মিত এই ফল খেলে পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মতো সমস্যা কমে। বিভিন্ন সময়ে তরমুজ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন তরমুজ কি খাবার খাওয়ার আগে না পরে খাওয়া উচিত?
তরমুজ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
সকাল তরমুজ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়। খালি পেটে নাশতায় এই ফল খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। দুপুরের খাবারের ১ ঘন্টা আগেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি হজম ব্যবস্থা উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধ হয়। ব্যায়ামের পরেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এবং পানির ঘাটতি পূরণ করে। গ্রীষ্মকালে বিকেলেও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে; এটি শরীরকে ঠান্ডা করে।
খাবারের আগে না পরে তরমুজ খাবেন?
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং পেট ভরা রাখে। খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খেলে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এবং আপনি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে পারবেন। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা খাবার খাওয়ার আগে তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কখন তরমুজ খাওয়া উচিত নয়?
রাতে তরমুজ খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হতে পারে। খাবারের পরপরই তরমুজ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি গ্যাস এবং হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। খালি পেটে তরমুজ খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে সকালে তরমুজ খেলে শরীর সতেজ থাকে। তবে ফ্রিজ থেকে বের করার পরপরই তরমুজ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে গলাব্যথা এবং হজম ব্যবস্থার ক্ষতি হতে পারে।
ওজন কমাতে বিকালে তরমুজ খান
যারা ওজন কমাতে চান তাদের বিকালে তরমুজ খাওয়া উচিত। এতে উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ থাকে, যার কারণে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে এবং ক্ষুধা লাগে না, যার ফলে ওজন হ্রাস পায়। এতে ক্যালোরির পরিমাণও কম থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে প্রতিদিন নিয়মিত তরমুজ খেলে ওজন কমানো সহজ হয়।
কোন ফলের সাথে তরমুজ খাবেন না
গরম ফলের সাথে তরমুজ খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে পেট খারাপ হতে পারে এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কলা, কমলা, আঙ্গুরের সাথে তরমুজ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এগুলোর সাথে তরমুজ খেলে গ্যাস, বদহজম এবং অ্যাসিডিটি হতে পারে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তরম জ তরম জ খ ল ন তরম জ র পর ম র র পর
এছাড়াও পড়ুন:
হরমুজ প্রণালি বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা
তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে গেছে।
এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করবে এবং হরমুজ প্রণালিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করবে, যা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত।
প্রণালিটির প্রস্থ খুব বেশি নয়, সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গায় মাত্র ৩৯ কিলোমিটার, যার মধ্যে কেবল দুটি সংকীর্ণ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে ছোট এই পানিপথ দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ যাতায়াত করে, যা একে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
হরমুজ প্রণালি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইরান প্রায়ই এই প্রণালিকে একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির জবাবে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যা গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার এই প্রণালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে।
ইরানে হামলার পরপরই হরমুজ প্রণালি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। খবর আলজাজিরার।