মধু এবং আদা দুটিই আলাদা আলাদভাবে শরীরের জন্য উপকারী। উভয় উপাদানই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এ কারণে এ দুটি উপাদান বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। যুগ যুগ ধরে, মধু এবং আদা সর্দি-কাশির মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমাতে ভূমিকা রাখে। উপকারী এ দুটি উপাদান একসঙ্গে খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
হজমশক্তি উন্নত করে: আদাতে উপস্থিত এনজাইম হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, অন্যদিকে মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি: আদা এবং মধুর মিশ্রণ সর্দি-কাশির জন্য খুবই উপকারী। আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার ফোলাভাব কমায়, অন্যদিকে মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়: মধু এবং আদা উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি বমি, বমি বমি ভাব, অ্যালার্জি এবং মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।
হৃদরোগের জন্য উপকারী: গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা, মধু হৃদরোগের জন্য ভালো। আদা রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও খুবই কার্যকর। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
মধু এবং আদা কীভাবে খাবেন?
মধু এবং আদা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। আদা পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার পানি তৈরি করে মধু যোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও, আপনি আদা এবং মধুর চাও তৈরি করতে পারেন।
আদা পিষে তার রস বের করে নিন, তারপর মধুর সাথে মিশিয়ে পান করুন। এই পদ্ধতি হজমের সমস্যার জন্য ভালো।
এক কাপ পানিতে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা আদা ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানি ঠান্ডা-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আদা কুঁচি করে বা পিষে পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চা গলা ব্যথা এবং কাশির জন্য উপকারী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর র জন য উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫