Samakal:
2025-11-02@10:20:38 GMT

রাতে দেরি করে খেলে কী হয়

Published: 16th, January 2025 GMT

রাতে দেরি করে খেলে কী হয়

ব্যস্ততার কারণে অনেকেই রাতে দেরি করে বাড়িতে ফেরেন। এ কারণে রাতের খাবার খেতেও দেরি করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ঠিক নয়। এতে স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতে খুব দেরি করে খেলে শারীরিক যেসব ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে-

পরিপাকতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে : বেশি রাতে খাবার খেলে পরিপাকতন্ত্রের ধীর হতে থাকে। খাবার সঠিকভাবে হজম করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে রাতে ভালোভাবে ঘুমানো যায় না। 

ওজন বাড়তে থাকে: অনেক রাতে খাবার খেলে শরীরের চর্বির পরিমাণ অর্থাৎ ওজন হু হু করে বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। পেট ভারী হয়ে থাকবে। ঘুম আসতে দেরি হবে। এমনকি মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

ঝুঁকি রয়েছে হৃদরোগের : যারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে চান, তারা একদমই রাতে দেরি করে খাবেন না। কারণ দেরি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে দেরি করে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা উঠানামা করে। যে ক্ষেত্রে আপনার সুগার বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে কিংবা যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তারা রাতে দেরি করে একদমই খাবেন না। ৎ

কখন খাবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে খাবার খাবেন। যেমন দশটায় যদি ঘুমান অন্তত সাতটার মধ্যে রাতের খাবার খান। এতে আপনার খাবার খুব ভালো হজম হবে। শরীরও খুব ভালো থাকবে। 

কেমন খাবার খাবেন
রাতে অবশ্যই হালকা খাবার খাবেন। যেমন- ভাত, ডাল, স্যালাড, সবজি ইত্যাদি। ভাজা খাবার একদম খাবেন না। জাঙ্ক ফুড খাবেন না। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম করতে পারবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে। রাতে খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবেন না। প্রায় এক ঘণ্টা পর পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে খাবার ভালো হজম করতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ