পার্থক্যটা কী

পেটব্যথায় ভোগেননি, এমন হওয়া অস্বাভাবিক। কখনো ভারী খাবার খাওয়ার পর, কখনো শরীরের সঙ্গে মানানসই না থাকা খাবারের কারণে, আবার কখনো মানসিক চাপ বা উদ্বেগের কারণে পেটব্যথা হয়। এসব সাধারণত হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো কারণে হতে পারে।

বেশির ভাগ সময় এসব তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু সব পেটব্যথা আদতে পেট থেকে হয় না। কখনো কখনো শরীরের অন্য অঙ্গ থেকেও হতে পারে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো লিভারের অসুখ—ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, বিশেষ করে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি), যার নতুন নাম এমএএসএলডি। সাধারণত এ রোগ কোনো লক্ষণ ছাড়াই নীরবে থাকে, তবে কখনো ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দিলে অনেকেই তা সাধারণ পেটব্যথা বা হজমের সমস্যা ভেবে ভুল করেন।

কেন পার্থক্য বোঝা জরুরি

ফ্যাটি লিভারের ব্যথা সাধারণ পেটব্যথার মতো নয়। কারণ, দুটি সৃষ্টি হয় ভিন্ন অঙ্গ থেকে। ফলে লক্ষণ ও চিকিৎসার ধরনও আলাদা। এটিকে সাধারণ পেটব্যথা ভেবে ভুল করা হলে রোগ সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হতে পারে। তাই পেটব্যথা বারবার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আরও পড়ুনফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ ও লিভার ডিটক্সে প্রতিদিনের তিনটি অভ্যাস০৭ আগস্ট ২০২৫ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কী

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো লিভারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চর্বি জমা হওয়া। এর দুটি ধরন—

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ

অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ

স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অতিরিক্ত মদ্যপান এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফ্যাটি লিভার কোনো উপসর্গ দেখায় না, যতক্ষণ না রোগটি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।

সাধারণ পেটব্যথা কী

পেটব্যথা বলতে সাধারণত মাঝপেটের ওপরের অংশে কিংবা বাঁ দিকের পাঁজরের নিচের ব্যথাকে বোঝায়। এটি পাকস্থলী থেকে (যেমন গ্যাস্ট্রাইটিস, আলসার) বা কাছাকাছি অঙ্গ থেকে (যেমন খাদ্যনালি, ক্ষুদ্রান্ত্র) হতে পারে। কখনো কখনো সাধারণ হজমজনিত সমস্যার কারণে ব্যথা হতে পারে।

পেটব্যথা বলতে সাধারণত মাঝপেটের ওপরের অংশে কিংবা বাঁ দিকের পাঁজরের নিচের ব্যথাকে বোঝায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ধ রণত

এছাড়াও পড়ুন:

দলের দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে যাচ্ছিলেন সালিস বৈঠকে, পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিএনপি নেতার

দলের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিরোধ মীমাংসায় ডাকা হয়েছিল সালিস বৈঠক। সে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ফেনীর পরশুরামের বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার (৫৮)। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর এক সহযোগী।

পারভেজ মজুমদার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নিজকালিকাপুর গ্রামে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা সদরে সন্ধ্যায় একটি সালিস বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সালিসে যোগ দিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মোহাম্মদ হারুন মোটরসাইকেলে নিজকালিকাপুর থেকে পরশুরাম যাচ্ছিলেন। তাঁদের বহন করা মোটরসাইকেলটি সুবার বাজার-পরশুরাম সড়কের কাউতলী রাস্তার মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারভেজের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে পরিবারের সদস্যরা রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিএনপি নেতা পারভেজ মজুমদারের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ