Samakal:
2025-06-05@03:40:06 GMT

মধু ও আদা একসাথে খেলে কী হয়

Published: 3rd, June 2025 GMT

মধু ও আদা একসাথে খেলে কী হয়

মধু এবং আদা দুটিই আলাদা আলাদভাবে শরীরের জন্য উপকারী। উভয় উপাদানই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এ কারণে এ দুটি উপাদান বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। যুগ যুগ ধরে, মধু এবং আদা সর্দি-কাশির মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমাতে ভূমিকা রাখে। উপকারী এ দুটি উপাদান একসঙ্গে খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

হজমশক্তি উন্নত করে: আদাতে উপস্থিত এনজাইম হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, অন্যদিকে মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি: আদা এবং মধুর মিশ্রণ সর্দি-কাশির জন্য খুবই উপকারী। আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার ফোলাভাব কমায়, অন্যদিকে মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়: মধু এবং আদা উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি বমি, বমি বমি ভাব, অ্যালার্জি এবং মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগের জন্য উপকারী: গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা, মধু হৃদরোগের জন্য ভালো। আদা রক্ত ​​জমাট বাঁধা রোধ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও খুবই কার্যকর। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। 

মধু এবং আদা কীভাবে খাবেন?

মধু এবং আদা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। আদা পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার পানি তৈরি করে মধু যোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও, আপনি আদা এবং মধুর চাও তৈরি করতে পারেন।

আদা পিষে তার রস বের করে নিন, তারপর মধুর সাথে মিশিয়ে পান করুন। এই পদ্ধতি হজমের সমস্যার জন্য ভালো।

এক কাপ পানিতে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা আদা ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানি ঠান্ডা-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

আদা কুঁচি করে বা পিষে পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চা গলা ব্যথা এবং কাশির জন্য উপকারী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর র জন য উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি পদ্ধতিতে এলএনজি আমদানিতে নীতিগত অনুমোদন

সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি আমদানি, উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ মেরামত এবং বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) খালি জায়গা বিক্রিতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, জিটুজি ভিত্তিতে ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড ইউএই থেকে স্বল্প মেয়াদে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে জাপান কোরিয়া মার্কেটিং ফরমুলা ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলএনজি ক্রয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আরো পড়ুন:

মূল্যস্ফীতি কমলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর 

অপ্রদর্শিত আয় ব্যবহারের সুযোগ থাকছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

সভায় ,বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’-এর ডকিং ও ডকিং সংশ্লিষ্ট মেরামত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ২০১৩ সালে উদ্ধরকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ সংগ্রহ করা হয়। জাহাজটি প্রতি চার বছর অন্তর মেরামত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সংগ্রহের প্রায় ১২ বছর অতিক্রান্ত হলেও তা মেরামত করা হয়নি। 

মেরামতের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোনো রেসপনসিভ দরদাতা পাওয়া যায়নি। জাহাজটি জরুরিভিত্তিতে ডকিং করে সংশ্লিষ্ট মেরামত কাজ পিপিআর ২০০৮ এর ৭৬ (২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড’ এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ২৮ টাকা।

সভায় বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ময়মনসিংহ জুট মিলস লিমিটেড এর ১৬.৮৯ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘ময়মনসিংহ জুট মিলস লিমিটেড’ ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সলে মিলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মিলটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে মিলের ৬২.৫০ একর জমির মধ্যে ৪৫.৬১ একর জমিসহ ক্রেতার নিকট মিলটি হস্তান্তর করা হয়। বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন অবশিষ্ট ১৬.৮৯ একর জমি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চর ঈশ্বরদিয়া মৌজায় অবস্থিত। উক্ত জমিটির কোনো সীমানা প্রাচীর না থাকায় তত্ত্বাবধান করা ও দখলে রাখা কষ্টসাধ্য এবং জমিটি খালি পড়ে থাকায় বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে বিজেএমসি’র পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক জমিটি বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির উপর্যুক্ত সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও উক্ত জমি মিল হতে দূরবর্তী হওয়ায় এবং জমিটি বিজেএমসি’র ব্যবহারে উপযোগিতা না থাকায় রাষ্ট্র মালিকানাধীন ময়মনসিংহ জুট মিলস লি. এর ১৬.৮৯ একর জমি বিক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

সভায়, ঢাকা জেলার ডেমরা থানার কায়েতপাড়া মৌজায় অবস্থিত বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস লিমিটেডের ৬.৪৮৫ একর জমি বিক্রয়ের প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দেয় কমিটি।

ঢাকা/হাসনাত/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ