Samakal:
2025-07-30@10:36:54 GMT

মধু ও আদা একসাথে খেলে কী হয়

Published: 3rd, June 2025 GMT

মধু ও আদা একসাথে খেলে কী হয়

মধু এবং আদা দুটিই আলাদা আলাদভাবে শরীরের জন্য উপকারী। উভয় উপাদানই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এ কারণে এ দুটি উপাদান বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। যুগ যুগ ধরে, মধু এবং আদা সর্দি-কাশির মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমাতে ভূমিকা রাখে। উপকারী এ দুটি উপাদান একসঙ্গে খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

হজমশক্তি উন্নত করে: আদাতে উপস্থিত এনজাইম হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, অন্যদিকে মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি: আদা এবং মধুর মিশ্রণ সর্দি-কাশির জন্য খুবই উপকারী। আদার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য গলার ফোলাভাব কমায়, অন্যদিকে মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়: মধু এবং আদা উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি বমি, বমি বমি ভাব, অ্যালার্জি এবং মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগের জন্য উপকারী: গবেষণায় দেখা গেছে যে আদা, মধু হৃদরোগের জন্য ভালো। আদা রক্ত ​​জমাট বাঁধা রোধ করতে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও খুবই কার্যকর। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। 

মধু এবং আদা কীভাবে খাবেন?

মধু এবং আদা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। আদা পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা আদার পানি তৈরি করে মধু যোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও, আপনি আদা এবং মধুর চাও তৈরি করতে পারেন।

আদা পিষে তার রস বের করে নিন, তারপর মধুর সাথে মিশিয়ে পান করুন। এই পদ্ধতি হজমের সমস্যার জন্য ভালো।

এক কাপ পানিতে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা আদা ফুটিয়ে নিন। তারপর পানি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানি ঠান্ডা-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

আদা কুঁচি করে বা পিষে পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চা গলা ব্যথা এবং কাশির জন্য উপকারী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর র জন য উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ