ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটা সবারই জানা। এটি প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ একটি খাবার। নিয়মিত ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, পেশির বৃদ্ধি হয়। ত্বক এবং চুলের জন্যও ডিম অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
গরমে সবাই এমন সব খাবার এড়িয়ে চলে যা শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ডিম খাওয়া হয়, কিন্তু গরমে এর চাহিদা কমে যায়। কেউ কেউ মনে করেন, গরমে ডিম খাওয়ার কোনও ক্ষতি নেই। আসলেই কি তাই? এ ব্যাপারে ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান কামিনী সিনহা জানিয়েছেন নানা তথ্য।
এই পুষ্টিবিদের ভাষায়, ডিম স্বাস্থ্যে জন্য খুবই উপকারী তবে গরমে ডিম খাওয়া কমানো উচিত। কারণ এটি শরীরে তাপ বাড়াতে পারে। প্রতিদিন একটি বা দু'টি ডিম খেলে কোনও ক্ষতি হবে না। তবে এ সময়ে বেশি পরিমাণে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
কামিনী সিনহা জানান, গরমে সকালের নাশতায় ডিম খাওয়া ভাল। এই সময়ে শরীরের পরিপাকতন্ত্র সবচেয়ে ভাল ভাবে কাজ করে। সিদ্ধ ডিম খাওয়া বেশি উপকারী কারণ এতে তেল বা মসলা থাকে না,ফলে বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কম।
পুষ্টিবিদদের মতে, যেকোন সুস্থ ব্যক্তি, যার কোনও ধরনের অ্যালার্জি বা হজমের সমস্যা নেই তিনি গরমে প্রতিদিন একটি-দু'টি ডিম খেতে পারেন। শিশু, বয়স্ক এবং হৃৎরোগীদের ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। যে কোনও ঋতুতেই বেশি ডিম খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
কাদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া বা হজম সংক্রান্ত কোনও সমস্যা আছে তাদের গরমে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। যদি কারও ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে যে কোনও ঋতুতেই ডিম খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও ডিম খাওয়ার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন এবং শুধুমাত্র সম্পূর্ণ রান্না করা ডিম খান। গরমে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত এবং হালকা খাবার খাওয়া উচিত। তাহলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো সহজ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেশনজট নিরসনের দাবিতে চবির শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
সেশনজট নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলা বিজ্ঞান বিভাগের ১২ শিক্ষার্থী।
শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিভাগটির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী আবু রাজিন মন্ডল, হাফসা কাউসার মিশু, তারেক মাহমুদ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ জাভেদ ও বখতিয়ারুল ইসলাম, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিফতাহ জাহান মীম, পাবত্রী রানী ও শ্রুতি রাজ চৌধুরী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্বাধীন বসু মিয়া, ক্যাএসিং মারমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোহাইমিন আনাম ও ওয়ালিউল্লাহ।
আরো পড়ুন:
আসনের দাবিতে চবির হলগেটে শিক্ষার্থীদের তালা
নটরডেমের শিক্ষার্থী ধ্রুবর অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি
অনশনে শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি হলো- সেশনজট নিরসন ও সর্বোচ্চ চার মাসের ভেতরে ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করার মাধ্যমে সেমিস্টার শেষ করা; কমপক্ষে আগামী ১২ মাস বা ৩ সেমিস্টারের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের মাধ্যমে ক্লাস শুরু, ফর্ম ফিলআপ, পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ ও ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি লিখিত আকারে প্রদান করা।
অনশনরত শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, “আমাদের সমস্যা নিরসনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বিগত প্রশাসন শুধু আশ্বাসই দিলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এজন্যই অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হলে আমরা অনশন ভাঙব না।”
অনশনকারী শিক্ষার্থী মিফতাহ জাহান মীম বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই সিনিয়রদের দুই-তিনটা আন্দোলন দেখেছি। বিগত প্রশাসনের আমলেও আন্দোলন করতে হয়েছিল, এখনো করতে হচ্ছে। সেশনজট দূর করার ব্যপারে বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অথচ অনেক সিনিয়রদের চাকরির বয়স চলে যাচ্ছে, কারো পরিবারের সমস্যা। এগুলো কে দেখবে? আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী