শীতে কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরে যা ঘটে
Published: 15th, January 2025 GMT
২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা সহজ হয়। স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথলাইন’— এর তথ্য, কুসুম গরম পানি শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা দেয়। ফলে মানসিক চাপ কমে। মেজাজ শিথিলকারণের মাত্রা উন্নত করে কুসুম গরম পানি। ইতিবাচক আবেগ অনুভূতি বাড়ায় কুসুম গরম পানি।
কুসুম গরম পানি পান করার আরও উপকরিতা রয়েছে—
হজমের সমস্যা দূর হয়: শরীরে আর্দ্রতা কমে গেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়। কুসুম গরম পানি পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। হজমজনিত সমস্যাও বিশেষ দেখা দেয় না।
ঘুম ভালো হয়: কুসুম গরম পানি পান করার ফলে শরীর ও মন ফুরফুরে থাকে। এতে শারীরিক উদ্দীপনা বাড়ে। ঘুম উন্নত হয়।
আরো পড়ুন:
এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা
দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
রক্ত চলাচল ভালো থাকে: শীতে মাঝেমাঝেই পেশিতে টান ধরে। এতে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করেন তাদের এই ধরনের সমস্যা কম হয়। কুসুম গরম পানি শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখে। শরীরে জমে থাকা বর্জ্যপদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায় সহজেই।
ত্বক সুস্থ থাকে: ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়তা দেয় কুসুম গরম পানি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। এতে ত্বক টান টান থাকবে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকবে।
সর্দি-কাশি দূরে থাকে: শীতকালে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। হাঁচি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়ম করে খালিপেটে কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
উল্লেখ্য, অত্যধিক গরম পানি পান করবেন না। অতিরিক্ত গরম পানি আপনার খাদ্যনালীর টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া স্বাদের অনুভূতি হারাতে পারেন, জিহ্বা চুলকাতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক স ম গরম প ন প ন কর সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক