Samakal:
2025-07-10@16:22:11 GMT

বর্ষাকালে দই খাওয়া কি ঠিক

Published: 10th, July 2025 GMT

বর্ষাকালে দই খাওয়া কি ঠিক

দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোবায়োটিক এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি চমৎকার উৎস। দই ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিনের পাশাপাশি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি হজমের জন্যও উপকারী। তবে প্রাচীন আয়ুর্বেদ অনুসারে,বর্ষায় দই খাওয়ার বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে।

বর্ষাকালে দই কেন এড়িয়ে চলা উচিত?

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, বর্ষাকালে দই খাওয়া শরীরের তিনটি দোষকেই প্রভাবিত করতে পারে যেমন- বাত, পিত্ত এবং কফ। এটি শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং অনেক মৌসুমি রোগের কারণ হতে পারে। ভারসাম্য বজায় রাখতে এ সময় আমাদের খাদ্য ও পানীয়ও ঠিক রাখা উচিত। বর্ষাকালে শরীরের এই দোষগুলরি মধ্যে ভারসাম্যের সমস্যা হয়। ওই প্রতিবেদনে বর্ষাকালে দই এড়িয়ে চলার আরও কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-

হজমের সমস্যা: দইয়ের মধ্যে ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে । আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঠান্ডা পদার্থ হজমশক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। এই কারণে দইয়ের সাথে এক চিমটি কালো মরিচ, ভাজা জিরা বা মধু যোগ করা সর্বদা পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ কিছু না মিশিয়ে এটি খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে।

প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল: আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, বর্ষাকালে দইয়ের মতো ঠান্ডা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ঠান্ডা খাবার অতিরিক্ত খেলে শরীরে কফ বেড়ে পায়, যার ফলে পেটের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এর পাশাপাশি শরীরে মৌসুমি রোগ এবং অ্যালার্জি দেখা দেয়।

শ্বাসকষ্ট: বর্ষাকালে নিয়মিত দই খেলে শরীরে কফ তৈরি হতে পারে। এর ফলে সর্দি, কাশি এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধার মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। বর্ষা ঋতুতে আর্দ্রতাজনিত রোগ এবং অ্যালার্জির ঝুঁকিও বাড়ায়।
দই খাওয়ার সঠিক উপায় কী?
বর্ষাকালে দই খেতে চাইলে, সঠিক উপায়ে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দইয়ে এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়ো, কালো মরিচ এবং পিঙ্ক সল্ট যোগ করা ভালো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর ষ ক ল বর ষ ক ল দ র বল সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় এসিসি সভা, আসতে রাজী নয় ভারত

আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, বাংলাদেশে এসে এসিসি সভায় যোগ দিতে রাজি নয় ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা এসিসিকে বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সভা সরিয়ে নিলে কিংবা অনলাইনে করলেই ভারত যোগ দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।

ভারতের ‘স্পোর্টস তক’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে সেখানে ভ্রমণ করা উপযুক্ত নয়। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এসিসিকে জানিয়ে দিয়েছি যেন পরবর্তী বৈঠকের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয়।’’

সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশেও দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগস্টে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে তাদের আসার কথা ছিল। কিন্তু, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের সফর পিছিয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

শূন্য থেকে শুরু বিপিএলের প্রস্তুতি

লর্ডস টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড

এসিসির চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি এসিসির সদস‌্যভুক্ত দেশগুলোকে এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওই সময়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে। সব ম্যাচ হবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

নানা কারণে এসিসির এবারের সভাটি গুরুত্বপূর্ণ। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ভারতে। কিন্তু, পাকিস্তান ভারত সফর করবে না; তা আগে থেকেই জানা। ফলে এই টুর্নামেন্ট হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ৫-২১ সেপ্টেম্বর চলবে এই প্রতিযোগিতা।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ