দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোবায়োটিক এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি চমৎকার উৎস। দই ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিনের পাশাপাশি অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি হজমের জন্যও উপকারী। তবে প্রাচীন আয়ুর্বেদ অনুসারে,বর্ষায় দই খাওয়ার বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে।
বর্ষাকালে দই কেন এড়িয়ে চলা উচিত?
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়ুর্বেদ অনুসারে, বর্ষাকালে দই খাওয়া শরীরের তিনটি দোষকেই প্রভাবিত করতে পারে যেমন- বাত, পিত্ত এবং কফ। এটি শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং অনেক মৌসুমি রোগের কারণ হতে পারে। ভারসাম্য বজায় রাখতে এ সময় আমাদের খাদ্য ও পানীয়ও ঠিক রাখা উচিত। বর্ষাকালে শরীরের এই দোষগুলরি মধ্যে ভারসাম্যের সমস্যা হয়। ওই প্রতিবেদনে বর্ষাকালে দই এড়িয়ে চলার আরও কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন-
হজমের সমস্যা: দইয়ের মধ্যে ঠান্ডা প্রভাব রয়েছে । আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঠান্ডা পদার্থ হজমশক্তিকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। এই কারণে দইয়ের সাথে এক চিমটি কালো মরিচ, ভাজা জিরা বা মধু যোগ করা সর্বদা পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ কিছু না মিশিয়ে এটি খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল: আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, বর্ষাকালে দইয়ের মতো ঠান্ডা দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ঠান্ডা খাবার অতিরিক্ত খেলে শরীরে কফ বেড়ে পায়, যার ফলে পেটের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। এর পাশাপাশি শরীরে মৌসুমি রোগ এবং অ্যালার্জি দেখা দেয়।
শ্বাসকষ্ট: বর্ষাকালে নিয়মিত দই খেলে শরীরে কফ তৈরি হতে পারে। এর ফলে সর্দি, কাশি এবং রক্ত জমাট বাঁধার মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। বর্ষা ঋতুতে আর্দ্রতাজনিত রোগ এবং অ্যালার্জির ঝুঁকিও বাড়ায়।
দই খাওয়ার সঠিক উপায় কী?
বর্ষাকালে দই খেতে চাইলে, সঠিক উপায়ে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দইয়ে এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়ো, কালো মরিচ এবং পিঙ্ক সল্ট যোগ করা ভালো।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর ষ ক ল বর ষ ক ল দ র বল সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
দুই সপ্তাহ আগে কারখানায় চাকরি নিয়েছিলেন নার্গিস, ছবি হাতে মায়ের আর্তনাদ
মেয়ে নার্গিস আক্তারের কোনো খবর পাচ্ছেন না মা সুরমা বেগম। মেয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি হাতে আহাজারি করছেন তিনি। বারবার বলছেন, ‘আর্মি, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস কেউ কিছু বলতাসে না। ভিতরে কী অবস্থা, মাইয়াডার কিসু হইল কি না, কিছুই জানি না।’
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এ ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সুরমা বেগম।
মিরপুর-১ গুদারাঘাট এলাকার বাসিন্দা সুরমা বেগম জানান, দুই সপ্তাহ হয় তাঁর মেয়ে নার্গিস ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের ওই তৈরি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি নিয়েছিল। মেয়েকে তিনি বাসাতেই সেলাইয়ের কাজ শিখিয়েছিলেন। এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে বাসায় বসে না থেকে মেয়ে নিজেই খোঁজ করে এখানে চাকরি নেয়।
শিয়ালবাড়ির যে সড়কে পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে, এর পাশের সড়কেই একটি শোরুমে ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে আছেন আফজাল সরকার। অগ্নিকাণ্ডের শুরু তিনি দেখেছেন বলে জানান। আফজাল প্রথম আলোকে বলেন, আগুন প্রথমে লাগে কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ সেকশনে’।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুনে ৯ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো তল্লাশি চলছে৩৮ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ আগে আনোয়ার ফ্যাশন নামের তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন নার্গিস আক্তার