প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে কেজরিওয়ালের ভিন্ন শর্ত
Published: 12th, January 2025 GMT
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আবারও সরব হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন। সেখানকার দুই প্রধান দল আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির মধ্যে চলছে কথার চালাচালি। এর মধ্যে দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনে অংশ না নিতে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করছে বিজেপি। এসবের জবাবে কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ করে রোববার ভিন্ন রকম শর্ত দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দিল্লির যেসব বস্তিবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলো যদি তিনি তুলে নেন এবং যেসব বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের পুনরায় থাকার জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আর নির্বাচন করবেন না।
কেজরিওয়াল বলেন, আমি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন, আমি নির্বাচন করব না। অন্যদিকে, কংগ্রেসের নেতা শচীন পাইলট বলেছেন, যদি এবারের বিধানসভায় তাদের দল জয় পায়, তাহলে দিল্লির শিক্ষিত তরুণদের এক বছর প্রতি মাসে ৮ হাজার ৫০০ রুপি করে দেবেন তারা। সঙ্গে এসব তরুণকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করবেন।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার ভোট গ্রহণ হবে। এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হবে ফলাফল। বর্তমানে সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে আম আদমি পার্টি। তবে গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন কেজরিওয়াল। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আবারও নেতৃত্বে আসার চেষ্টা করছেন।
সত্তা বাজার নামের একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, এবারও আম আদমি পার্টিরই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি। তবে তাদের আসন সংখ্যা কমতে পারে। অন্যদিকে, সর্বশেষ নির্বাচনে মাত্র আটটি আসন পাওয়া বিজেপি চমক দেখিয়ে দিল্লিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারে। খবর এনডিটিভির
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫