পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি সরাল এনসিটিবি
Published: 13th, January 2025 GMT
নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ের পেছনের কাভার থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি সরিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। একদল শিক্ষার্থীর দাবির মুখে রোববার রাতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এনসিটিবির ওয়েবসাইটে এখন বইটির যে অনলাইন সংস্করণ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আগের গ্রাফিতির বদলে ‘বল বীর, চির উন্নত মম শির’ শীর্ষক নতুন গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে।
একদল শিক্ষার্থীর দাবির মুখে গতকাল রাতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেনিটি’ নামের এই সংগঠনটির যুক্তি, সংবিধানে ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার নেই। তাদের দাবি, সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই ‘আদিবাসী’ শব্দটির ব্যবহার যথাযথ নয়।
গতকাল রাতে মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর পরই পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে গ্রাফিতিটি সরিয়ে দেয় এনসিটিবি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।