স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসা ও প্রতিকার
Published: 13th, January 2025 GMT
স্ক্যাবিস কী
স্ক্যাবিস ক্ষুদ্র অণুজীব দিয়ে আক্রান্ত অত্যন্ত ছোঁয়াছে একটি চর্ম রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর চামড়ায় প্রচণ্ড চুলকানি হয়। পরবর্তী সময়ে লাল লাল ফুসকুড়ি ও পানি ফুসকুড়ি দেখা যায়। সাধারণত হাতের আঙুলের ফাঁকে, পুরুষাঙ্গে, অণ্ডকোষে, তলপেটে ও থাইয়ের ওপরের অংশে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। চুলকানি এত বেশি হয় যে, অনেক সময় চামড়ায় ক্ষত না করা পর্যন্ত চুলকানি শেষ হয় না। এ রোগের বৈশিষ্ট্য হলো রাতে বেশি চুলকায় এবং দ্রুতই পরিবারের সবাই আক্রান্ত হয়ে যান।
স্ক্যাবিস রোগের দেশব্যাপী প্রাদুর্ভাব
ইদানীং প্রতিদিন চর্ম বহির্বিভাগের যত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এর ১০-১৫ শতাংশ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে; যা পুরো দেশের চর্ম বহির্বিভাগের চিত্র বহন করছে। স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব কয়েক মাস ধরে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অত্যন্ত ছোঁয়াছে হওয়ার ফলে এ রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। স্ক্যাবিস সাধারণত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, অপুষ্টিজনিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তুলনামূলক বেশি পরিলক্ষিত হয়।
স্ক্যাবিস রোগের প্রতিকার
সর্বদা হাইজিন (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা) বজায় রাখতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
আক্রান্ত রোগী থেকে অন্যদের আলাদা থাকতে হবে।
দ্রুত রোগীকে চর্ম বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সঠিক নিয়মে চিকিৎসা নিতে হবে।
পরিবারের সবাইকে একই সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
স্ক্যাবিস চিকিৎসার সঠিক ব্যবহারবিধি
আক্তান্ত রোগীকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে।
পারমেথ্রিন ক্রিম রাতে ঘুমানোর আগে গলা থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত এমনভাবে মাখতে হবে, যাতে একটি পশমের গোড়াও বাকি না থাকে।
৮-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ওষুধ গায়ে থাকতে হবে। ওই সময় পানি ধরা বা হাত, পা, শরীর ধোয়া যাবে না ।
সকালে কুসুম গরম পানিতে গোসল করে পরিধেয় কাপড়চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার ধুয়ে ইস্ত্রি করতে হবে।
প্রয়োজনে এক সপ্তাহ পর একই নিয়মে আবার ওই ক্রিম লাগাতে হবে।
ইনফেকশন হলে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
চুলকানির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন বড়ি খেতে হবে।
যদি রোগী ক্রাস্টেড স্ক্যাবিস রোগে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে পারমেথ্রিন ক্রিম পরপর ৭ দিন রাতে পুরো শরীরে লাগাতে হবে এবং অবশ্যই আইভারমেকটিন বড়ি ১ম, ২য়, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১৫তম, ১৬তম, ২২তম এবং ২৯তম দিনে ১টি করে সেবন করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সঠিকভাবে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রিম লাগাতে হবে।
অন্যদের থেকে যেন আবার আক্রান্ত না হয় সেদিকে ল রাখতে হবে।
রোগীর যদি অ্যাটোপিক অ্যালার্জি থাকে তাহলে একই সঙ্গে সেই রোগের চিকিৎসা নিতে হবে।v
[কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
চেম্বার: আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার]
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বেতনের পেশার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাইলট। ফ্রান্সে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ মাসিক বেতনের পেশা। জার্মানিতে জটিল ভূমিকার পাইলটেরা মাসে ২৮ হাজার ৯৬ ইউরো উপার্জন করেন। যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা মধ্যম আয়ে পঞ্চম স্থানে। ডেনমার্কে ২০২৩ সালে মাসিক বেতন ১৩ হাজার ৫২৩ ইউরো, দেশটির হিসাবে সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন।
অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতনের বৈচিত্র্য
পাইলটদের বেতন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। যুক্তরাজ্যে বেতন শুরু হয় বছরে ৫৪ হাজার ২৮৩ ইউরো (৪৭,০০০ পাউন্ড) থেকে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য এটি প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ ইউরো (১ ইউরো সমান ১৪১ টাকা ৭৭ পয়সা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ হিসাবে) পর্যন্ত হতে পারে, জানিয়েছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্যারিয়ার্স সার্ভিস।
ইআরআই অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পাইলটরা এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞ পাইলটের চেয়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি আয় করেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞ পাইলটরা প্রায় তিন গুণ বেশি উপার্জন করেন।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫দেশভিত্তিক তথ্যযুক্তরাজ্য
২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এএনএসের তথ্যানুসারে, পূর্ণকালীন ‘এয়ারক্রাফট পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার’-এর বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ হাজার ২৪০ ইউরো (৮০,৪১৪)। ইআরআইয়ের মতে, গড় বার্ষিক বেতন ৯০ হাজার ২৫৩ ইউরো (৭৮,১৪৬ পাউন্ড), লন্ডনের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ ইউরো (১০০,০৬০ পাউন্ড)।
জার্মানি
জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের তথ্যমতে, গড় মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫৬৬ ইউরো (বার্ষিক ১,৫০,৭৯২ ইউরো)। মধ্যম আয় ১০ হাজার ২০৭ ইউরো (বার্ষিক ১,২২,৪৮৪ ইউরো), অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত পাইলটদের ক্ষেত্রে তা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। ইআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটের গড় বেতন ৭৩,৭৮৫ ইউরো, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৭ ইউরো।
ফ্রান্স
INSEE জানায়, ‘সিভিল এভিয়েশন টেকনিক্যাল ও কমার্শিয়াল ফ্লাইট অফিসার’দের গড় মাসিক বেতন ৯ হাজার ৩০০ ইউরো (বার্ষিক ১,১১,৬০০ ইউরো)। ERI অনুসারে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য গড় বেতন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ ইউরো।
ছবি: এমিরেটসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া