Prothomalo:
2025-05-01@03:19:44 GMT

ভ্যাট বাড়ায় এলপিজির দাম বাড়ল

Published: 14th, January 2025 GMT

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম টানা দুই মাস অপরিবর্তিত রেখেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ায় সংস্থাটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়েছে।

ভ্যাটের হার পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় করে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিইআরসি। গণমাধ্যমে পাঠানো সে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির ভ্যাটসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়। ভ্যাট পরিবর্তনের আগে প্রতি কেজির দাম ছিল ১২১ টাকা ১৯ পয়সা।

গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আর সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাইকারি বিদ্যুতের দামে সমতা চায় ডেসকো-ওজোপাডিকো

পাইকারি বিদ্যুতের মূল্যহার সমন্বয়ের আবেদন করেছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। অন্য বিতরণ কোম্পানির তুলনায় ৩৩ কেভিতে বেশি দর কমিয়ে সমান করার জন্য কোম্পানি দুটি সম্প্রতি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসিতে এ আবেদন করে। তবে বিইআরসি বলেছে, গণশুনানি ছাড়া মূল্য পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। 

ঢাকা শহরের উত্তরাংশ ও টঙ্গী এলাকায় বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডেসকো ঢাকার অপর বিতরণ কোম্পানি ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ-ডিপিডিসির সমান করার জন্য চিঠি দেয়। পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওজোপাডিকো রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকোর সমান করার আবেদন করেছে। 

৩৩ কেভিতে ডিপিডিসির তুলনায় ইউনিটপ্রতি প্রায় ৩ পয়সা হারে বাড়তি বিল দিচ্ছে ডেসকো। এ লাইনের বিদ্যুতে ডিপিডিসি ইউনিটপ্রতি বিল দিচ্ছে ৮ দশমিক ৫৬ পয়সা হারে। একই স্তরে ডেসকোকে পরিশোধ করতে হচ্ছে ৮ দশমিক ৫৮৮০ টাকা। অন্যদিকে নেসকোর তুলনায় ৪২ পয়সা হারে বেশি বিল দিতে হচ্ছে ওজোপাডিকোকে। ৩৩ কেভিতে নেসকো ইউনিটপ্রতি ৭ দশমিক ০৪ টাকা হারে বিল দিলেও ওজোপাডিকোর দিতে হচ্ছে ৭ দশমিক ৪৬ টাকা।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি সরকারি-বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে বিদ্যুতের পাইকারি দরে এ পার্থক্য বিদ্যমান। তখন কোম্পানিগুলোর রাজস্ব চাহিদা এবং গ্রাহকসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একই ধাপের ভিন্ন ভিন্ন পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি। তখন ডিপিডিসির রাজস্ব আয় কম হওয়ায় ডেসকোর তুলনায় ৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুতের পাইকারি দাম কম নির্ধারণ করা হয়। একইভাবে নেসকো তখন নতুন কোম্পানি হওয়ায় তাকে স্বনির্ভর হতে দাম কম ধরা হয়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলেও কোম্পানিভেদে ৩৩ কেভির পার্থক্য থেকে গেছে।

বিইআরসিকে দেওয়া চিঠিতে কোম্পানি দুটি জানায়, বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় তাদের লোকসান হচ্ছে। ডেসকো গত অর্থবছরে ৫০৫ কোটি টাকা এবং ওজোপাডিকো ২০৮ কোটি টাকা নিট লোকসান গুনেছে।  

ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ হায়দার বলেন, নেসকো ও আমাদের গ্রাহকের মান একই হলেও ৩৩ কেভি বিদ্যুতের পাইকারি দর তাদের তুলনায় বেশি। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাইকারি বিদ্যুতের দামে সমতা চায় ডেসকো-ওজোপাডিকো
  • বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস বিচ্ছিন্ন, ৯০ কারখানা বন্ধ