Prothomalo:
2025-07-31@21:57:05 GMT

ভ্যাট বাড়ায় এলপিজির দাম বাড়ল

Published: 14th, January 2025 GMT

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম টানা দুই মাস অপরিবর্তিত রেখেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ায় সংস্থাটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়েছে।

ভ্যাটের হার পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় করে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিইআরসি। গণমাধ্যমে পাঠানো সে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির ভ্যাটসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়। ভ্যাট পরিবর্তনের আগে প্রতি কেজির দাম ছিল ১২১ টাকা ১৯ পয়সা।

গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আর সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামেক হাসপাতালে ইআরসিপি স্যুট, জটিল রোগের চিকিৎসা মিলবে সহজেই

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোলাঞ্জিও প্যানক্রিয়াটিকোগ্রাফি (ইআরসিপি) স্যুট চালু করা হয়েছে। ফলে, এখানে সহজেই অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ ইআরসিপি স্যুট উদ্বোধন করেন।

ইআরসিপি স্যুট একটি অত্যাধুনিক ও বিশেষায়িত ইউনিট, যেখানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট, হেপাটোলজিস্ট, হেপাটোবাইলিয়ারি সার্জন ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোসার্জনরা চিকিৎসা কার্যক্রম চালাবেন। খাদ্যনালী, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের জটিল রোগের ক্ষেত্রে পেট না কেটে এখন থেকে শুধু এন্ডোস্কোপি প্রযুক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করা যাবে।হাস

পাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানিয়েছেন, এতদিন এই বিশেষায়িত ইউনিটটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি চলে আসে।

তিনি বলেন, “খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়া এবং পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের পাথরের চিকিৎসাগুলো এখন থেকে সহজেই করা যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে এসব চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমরা চেষ্টা করব, এ সেবা যেন সাধারণ মানুষ স্বল্প খরচে পেতে পারেন।”

উদ্বোধনের দিনেই এক রোগীকে সফলভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রামেক হাসপাতালে ইআরসিপি স্যুট, জটিল রোগের চিকিৎসা মিলবে সহজেই