ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা ও কিয়ারা আদভানি। কিছুদিন আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তাদের দুই সিনেমা। বলা যায়, এখন বক্স অফিসে মুখোমুখি তারা। তুলনামূলকভাবে, কিয়ারার ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার চেয়ে ভালো করছে উর্বশীর ‘ডাকু মহারাজ’। এরই মাঝে উর্বশীর একটি মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়।

দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন উর্বশী রাউতেলা। এসময় তাকে বলা হয়, কিয়ারার ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার চেয়ে ‘ডাকু মহারাজ’ ভালো সাড়া ফেলেছে। এ বিষয়ে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “এই টিমের সদস্য হিসেবে পুরো টিম নিয়ে আমি গর্বিত। এর আগে শঙ্কর স্যারের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান টু’ সিনেমায় কাজ করেছি। তিনি একজন দূরদর্শী চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি মানুষ হিসেবেও ভালো, তার সঙ্গে আমারও সম্পর্ক ভালো।”

উদাহরণ টেনে কথা বলতে গিয়ে কিয়ারাকে ‘খোঁচা’ দিয়েছেন উর্বশী। অন্তত নেটিজেনরা তেমনটাই বলছেন। উর্বশী বলেন, “টুইটারে বেশ কিছু পোস্ট পড়েছি। সেখানে মানুষ বলছেন— ‘কিয়ারা আদভানির সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং উর্বশীর ‘ডাকু মহারাজ’ সুপার-ডুপার হিট।’ আমার মনে হয়, তার সিনেমা যে চলেনি, সেটার দোষ আমার নয়।”

দর্শকরা উর্বশীর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছেন। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “দর্শকরা ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা পছন্দ করেছেন। সিনেমাটিতে আমার অভিনয় ও আমার ‘দাবিডি ডিবিডি’ শিরোনামের গানটিও প্রশংসা কুড়াচ্ছে। আমার অ্যাকশন দৃশ্য দেখেও প্রশংসা করছেন। তা হলে আমার আর কী দরকার? একজন অভিনেত্রী হিসেবে সবসময়ই বড় ব্যানার এবং দূরদর্শী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। অভিনন্দন সিতারা এন্টারটেইনমেন্টকে।”

ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উর্বশী রাউতেলা বলেন, “যা কিছু হয়েছে তার সবই দর্শকদের ভালোবাসার কারণে। যতদূর জানি, আমার ভক্তরা খুবই অনুগত। সত্যিকার অর্থে তারা আমার জন্য লড়াই করেন। বিশ্বব্যাপী আমার বিশ্বস্ত ভক্ত-অনুরাগী রয়েছেন। শুধু ভারতের প্রজেক্ট নয়, আমার আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট নিয়েও তারা সরব থাকেন। এসব পেয়েছি আমার অতীতের কাজের জন্য। বিশ্বব্যাপী বিশ্বস্ত ভক্ত পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।”

‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমায় কিয়ারা আদভানির বিপরীতে অভিনয় করেছেন রাম চরণ। ২০২১ সালের শেষ লগ্ন থেকে আলোচনায় এটি। এতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাম চরণ। ৪০০-৪৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেছেন এস.

শঙ্কর। গত ১০ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় এটি। ১০ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করেছে ১৭৯.৫৫ কোটি রুপি।

অন্যদিকে তেলেগু ভাষার ‘ডাকু মহারাজ’ সিনেমা কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নান্দামুরি বালাকৃষ্ণা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপায়ন করেছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। ‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমার খরচের তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয়ে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘ডাকু মহারাজ’ নির্মাণ করেছেন ববি কোলি। ৮ দিনে বিশ্বব্যাপী এটি আয় করেছে ১০৯ কোটি রুপির বেশি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুবাড়িতে হামলা ঠেকাতে ‘পর্যাপ্ত’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি
  • নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতা–কর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে মেজর
  • দেশের চারজনের একজন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার
  • ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে
  • ডেঙ্গুতে দুজনের, করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু
  • জাওয়াইদেহ বেদুইনদের মৌখিক সাহিত্য
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন