চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির কারণে বিদেশের মাটিতে অবস্থিত দেশের কূটনৈতিক মিশনের চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই মূল্যস্ফীতির প্রতিঘাত মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৬০টি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘বৈদেশিক’ ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তবে ভাতা বাড়েনি ২০ দেশের মিশনের। স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্ষেত্রবিশেষ সর্বনিম্ন ২ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে।

এদিকে ভাতা বাড়ানোর পর সেটি পরিশোধ করতে হবে মার্কিন ডলারে। কিন্তু দেশে বর্তমান ডলারের সংকট কাটেনি। ফলে ভাতা বাড়ানোর পর বাজেটে কী ধরনের চাপ আসতে পারে সেটিও পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ। সেখানে দেখা গেছে বর্ধিত ভাতা কার্যকরের পর এ খাতে বিদ্যমান বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় বেশি হবে। অর্থাৎ ব্যয় বাড়বে ১১ শতাংশ।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক মিশনের ভাতা বাড়ানোর আগে ২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১ বছরের গড় মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৬০টি দেশের মুদ্রা বিনিময় হার সমন্বয় করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এরপর ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈদেশিক ভাতা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে জীবনযাত্রার মান, ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা, ডলারের বিনিময় হার এবং ডলার ফ্ল্যাট রেট এই চার দিককে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন চলছে। বৈশ্বিক গতিধারা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে চীনের গড় মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতের ৪ দশমিক ১ শতাংশ, জাপানের ২ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যের ২ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১ দশমিক ৯ শতাংশে উঠবে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে ২ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২ দশমিক ৩ শতাংশ, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়াতে মূল্যস্ফীতি পৌঁছবে ২ দশমিক ৭ শতাংশে।

এই মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ স্থানীয় মুদ্রা বিনিময় হারের সঙ্গে সমন্বয় করে মিশনে চাকরিজীবীদের বৈদেশিক ভাতা পুনঃনির্ধারণ করেছে। সেটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা তাদের মিশনগুলো যে ভাতা দিচ্ছে সে তুলনায় দেশের মিশনগুলোর বিদ্যমান ভাতা অর্ধেকের চেয়েও কম। এতে মূল্যস্ফীতির প্রতিঘাতে বিদেশের মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা একরকম কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হয়ে পড়েন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন মিশনের বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা প্রতি তিন বছর অন্তর সমন্বয় করা হলেও ২০১২ সালের পর বৈদেশিক ভাতা বাড়ানো হয়নি।

জানা গেছে, এর আগে ২০১২ সালে কূটনৈতিক মিশনের চাকরিজীবীদের আপ্যায়ন ও বৈদেশিক ভাতা এক লাফে ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। সেটি ছিল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। যে কারণে দীর্ঘ ১২ বছরে ধরে এ খাতে ভাতা পুনঃনির্ধারণ করা হয়নি।

জানা গেছে, বৈদেশিক মিশনের ভাতা বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রথমে অর্থ বিভাগকে একটি আধা-সরকারি পত্র দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, ২০১২ সালের পর গত ১২ বছরে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৈদেশিক ভাতা ও আপ্যায়ন ভাতা পুনঃনির্ধারণ (বৃদ্ধি) করা হয়নি। বর্তমান কূটনীতিকগণ বহির্বিশ্বে প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সেখানে আরও বলা হয় মাথাপিছু জাতীয় আয় গত ১২ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হলেও বৈদেশিক ও আপ্যায়ন ভাতা বৃদ্ধি না পাওয়ায় সার্বিক অগ্রগতির সুফল মিশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জীবনযাত্রার ব্যয় ধরে ভাতা নির্ধারণ করা হলে সেক্ষেত্রে এ খাতের বাজেট ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা ডলারের মূল্যে ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া ক্রয়ক্ষমতার বিবেচনায় ভাতা বাড়ানো হলে সেক্ষেত্রে ১৮ লাখ মার্কিন ডলার বেশি প্রয়োজন হবে। এ খাতে বরাদ্দ বাড়বে ১৪ শতাংশ। আর মুদ্রার বিনিময় হার হিসাবে ভাতা বাড়ানো হলে বাড়তি ব্যয় হবে ১৯ লাখ মার্কিন ডলার, বাজেটে বরাদ্দ বাড়বে ১২ শতাংশ। সার্বিক বিশ্লেষণ করে ক্ষেত্রবিশেষ এ ভাতা বাড়ানো হয়েছে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয় করে।

সূত্রমতে, সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করে এ ভাতা বাড়ানোর আগে একটি কমিটি গঠন করেছিল অর্থ বিভাগ থেকে। ওই কমিটি সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। তবে সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে ক্ষেত্রবিশেষ দেশগুলোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধি করেছে অর্থ বিভাগ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে ৮৪টি কূটনৈতিক মিশন আছে। নতুন করে আরও নয়টি দেশে মিশন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে চালু আছে ৮০টি মিশনের কার্যক্রম। এর মধ্যে ৪৭টি দূতাবাস, ১৪টি হাইকমিশন, ১২টি কনস্যুলেট, তিনটি স্থায়ী মিশন, চারটি উপ-হাইকমিশন এবং চারটি সহকারী হাইকমিশন রয়েছে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন, আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স, নরওয়ের রাজধানী অসলো ও কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে নতুন করে বাংলাদেশ মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র চ কর জ ব অবস থ ত দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া

শীতের মৌসুম শুরু হলেও রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ এবার কম। এ কারণে দামও চড়া। বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার বেশি। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে।

বছরের এপ্রিল-অক্টোবর সময়টা মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুম। এ সময়ে প্রাণিজ আমিষ, অর্থাৎ মাছ, মাংস ও ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। তাতে সবজির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে সবজির সরবরাহ মোটামুটি থাকলেও দাম থাকে চড়া। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দামও কমতে শুরু করে। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে।

বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর শীতের আগাম সবজি আসতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। এ কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি, শিমসহ শীতের আগাম কিছু সবজি আসতে শুরু করেছে। এতে এসব সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, অক্টোবরের শুরুতেই আগাম শীতের সবজি বাজারে আসার কথা। কিন্তু এবার বেশ দেরিতেই এসব সবজি বাজারে এসেছে।

দেশে সবজির অন্যতম উৎপাদনস্থল যশোর। যশোরের সদর উপজেলার নোঙরপুর গ্রামের কৃষক বদরুল আলম এ বছর ৪০ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ শতক জমির মুলা তিনি বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, আবহাওয়াগত কারণে এবার আগাম সবজি একটু দেরিতে চাষ হয়েছে। এ জন্য খেত থেকে সবজি তুলতেও দেরি হয়।

এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে আগাম শীতকালীন সবজি অক্টোবরের শেষে বাজারে আসা শুরু হয়েছে।আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ, অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

কৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর আগাম সবজি চাষে দেরি হওয়ার পেছনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টানা বৃষ্টির একটি ভূমিকা ছিল। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে হঠাৎ টানা বৃষ্টি হয়। সামনের বছরগুলোতেও এমন পরিস্থিতি আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। ইমরান মাস্টার, সভাপতি, কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, দেশে ফসল উৎপাদন মূলত প্রকৃতিনির্ভর চাষাবাদ পদ্ধতিতে এবং খোলা মাঠে হয়। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গত কয়েক বছরে দেশে বৃষ্টির ধরন পরিবর্তন হয়ে গেছে। কখনো খুব বেশি বৃষ্টি হয়, কখনো কম। এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে অন্যান্য সময় যেখানে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে চলে আসে, সেখানে এবার তা অক্টোবরের শেষে আসা শুরু হয়েছে। এটিই বাজারে সবজির দাম না কমার অন্যতম কারণ।

ভিন্ন দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দুই দফায় সবজির ক্ষতি হয়। এর মধ্যে গত আগস্টে প্রায় ১৮ দিনের বৃষ্টিতে ৩৫১ হেক্টর জমির এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ দিনে ১২৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি বছর শীতের আগাম সবজি আসতে উল্লেখ করার মতো দেরি হয়নি। স্থানভেদে কোথাও কয়েক দিন দেরিতে চাষ শুরু হয়েছে। তবে সেটি সার্বিক চিত্র নয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘আগাম সবজির সরবরাহ কম, এটি ব্যবসায়ীদের সাধারণ কথা। আমাদের তথ্য বলছে, শীতের আগাম সবজি ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। দেশের সব বাজারেই এখন শীতের আগাম সবজি পাওয়া যায়। দামও সহনীয় হয়ে এসেছে। আগাম সবজি যদি কম থাকত, তাহলে দাম আরও চড়া থাকার কথা ছিল।’

বৃষ্টির কারণে সবজি আসতে দেরি হয়েছে কি না—এ প্রসঙ্গে ওবায়দুর রহমান বলেন,সারা দেশে একসঙ্গে টানা বৃষ্টি হয়নি। শুধু কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ রংপুরের কয়েকটি জেলা এবং চট্টগ্রামের কিছু জেলার নিচু এলাকায় অতিবৃষ্টির প্রভাব পড়েছিল। এ ছাড়া বগুড়া, যশোর অঞ্চলে বৃষ্টির তেমন প্রভাব পড়েনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি বছর শীতকালে (রবি মৌসুম) প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুমান করেছে তারা। এর মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। যেসব জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে, সেখানে আবার সবজি চাষ হবে। গত বছর শীত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরে সবজি চাষ হয়েছিল।

করণীয় কী

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টির অস্বাভাবিকতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। এ সত্যকে মেনে নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে এক ফসলি জমিকে দুই বা তিন ফসলি করা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো জরুরি।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষিতে প্রযুক্তিনির্ভর অভিযোজনের বিকল্প নেই। কম খরচে পলিথিনের শেড তৈরি করে সবজি চাষ করা সম্ভব, যা বৃষ্টি বা তাপমাত্রার পরিবর্তনে তেমন প্রভাবিত হয় না। পাতাজাতীয় শাকসবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন ও শসার মতো ফসল এতে সহজে উৎপাদন করা যায়। উৎপাদন স্থিতিশীল থাকলে সবজির সরবরাহ ঠিক থাকবে, কৃষকেরাও ভালো দাম পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ