সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।

আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।

আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।

বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

যা জানা জরুরি

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য এখন কানাডা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এ দেশে পড়তে আসছেন। সহজ অভিবাসন নীতি ও প্রাকৃতির সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই এখন পড়াশোনার জন্য কানাডাকে বেছে নিচ্ছেন। 
কেন কানাডায় পড়াশোনা করবেন?    
lআন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা: কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং গবেষণার জন্য সুপরিচিত।    
lকম টিউশন ফি: অন্যান্য অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কানাডায় টিউশন ফি তুলনামূলক কম।
lচাকরির সুযোগ: পড়াশোনা শেষে কাজের এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ।
lবহু-সংস্কৃতির পরিবেশ: কানাডা একটি বহু-সাংস্কৃতিক দেশ, যেখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সহাবস্থান করেন।
যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া–
একাডেমিক যোগ্যতা– 
মাস্টার্স: সাধারণত একটি ভালো ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং নির্দিষ্ট জিপিএ প্রয়োজন।
পিএইচডি: মাস্টার্স ডিগ্রি এবং গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিছু প্রোগ্রামের জন্য সরাসরি ব্যাচেলর ডিগ্রি থেকে পিএইচডিতে আবেদন করা যায়, যদি আপনার একাডেমিক রেকর্ড খুব ভালো হয়।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতা: 
IELTS (সাধারণত 6.5 বা তার বেশি), TOEFL (সাধারণত 86 বা তার বেশি), PTE (63 বা তার বেশি) অথবা Duolingo (110 বা তার বেশি) স্কোর প্রয়োজন। 
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: 
lপাসপোর্ট lএকাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট (স্ক্যান কপি)
lস্টেটমেন্ট অব পারপাস: কেন আপনি এই প্রোগ্রামটি বেছে নিচ্ছেন, আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এবং কেন আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত, তা এখানে তুলে ধরতে হবে।
lরিকমেন্ডেশন লেটার (সাধারণত ২-৩টি)
lসিভি/রেজিউমে
কিছু প্রোগ্রামের জন্য GRE/GMAT স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।
lকানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত বৃত্তি: একাডেমিক ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৃত্তি প্রদান করে।
সরকারি বৃত্তি: কানাডা সরকার বিভিন্ন বৃত্তি দিয়ে থাকে যেমন: 
ভেনিয়ার কানাডা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ (Vanier Canada Graduate Scholarships): এটি পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি, যা প্রতি বছর প্রায় ৫৮ লাখ টাকা (তিন বছরের জন্য) পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেয়।
স্নাতকোত্তর ওয়ার্ক পারমিট এবং স্থায়ী বসবাসের সুযোগ:
lকানাডায় পড়াশোনা শেষ করার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য যোগ্য হতে পারে। এই পারমিট তাদের কানাডায় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়।
lপোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ সাধারণত প্রোগ্রামের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে, এবং এটি ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
lকানাডার কাজের অভিজ্ঞতা স্থায়ী বসবাসের  আবেদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাম্প্রতিক আপডেট (২০২৫):
lস্টাডি পারমিটের ক্যাপ: কানাডার ইমিগ্রেশন, রিফিউজি এবং সিটিজেনশিপ (IRCC) ২০২৫ সালের জন্য স্টাডি পারমিটের সীমা ঘোষণা করেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০% কম (লক্ষ্যমাত্রা ৪,৩৭,০০০ ভিসা)।
lপ্রি-অ্যারাইভাল লেটার: মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এখন থেকে প্রি-অ্যারাইভাল লেটার বাধ্যতামূলক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই প্রি-অ্যারাইভাল লেটার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
lপোস্ট-গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিটের যোগ্যতা: দীর্ঘমেয়াদি শ্রম ঘাটতির সম্মুখীন পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোগ্রাম অফারকারী পাবলিক কলেজ থেকে স্নাতকরা ৩ বছর পর্যন্ত PGWP এর জন্য যোগ্য হতে পারবেন।
কানাডায় মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং সময়সীমা ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষকদের কাছ থেকে সুপারিশ
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশপত্র। একে letter of recommendation বলে। সাধারণত কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করলে, সে কেমন তা জানার জন্য একটি গোপনীয় পত্র সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার নির্বাচিত দু-তিনজন শিক্ষকের কাছে চাওয়া হয়। আপনার শিক্ষক আপনাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, তা লিখে জানাবেন। এই কার্যক্রমে আবেদনকারী কোনোভাবেই কিছু জানবে না। তবে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে, যে যে শিক্ষকের নাম দেবে তাদের সঙ্গে আগে থেকে অনুমতি নেওয়া। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের বিশ্ববিদ্যালয় ডোমেইনের ই-মেইল ব্যবহার করা উচিত। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ