আজ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন। আজ থেকেই যে বইমেলা শুরু হয়েছে, তা তো বেশ ভালোই জানো তোমরা। এই ভালো করে জানা বুদ্ধিমান ফড়িং সোনাদের বলি, এবারের মেলার প্রথম দিনটাই তোমাদের। মানে আজই শিশুপ্রহর। এ কারণেই প্রথম দিনেই জমে উঠবে মেলা। রাজ্যের পিচ্চিকাচ্চি প্রথম দিন থেকেই মেলায় ভিড় জমাবে। কেউ কেউ তো মেলার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেওয়াও শুরু করে দেবে। এই ঘ্রাণ নেওয়ার অভ্যাস কিন্তু ভালো! বলি, যাদের এই রোগটা আছে, তারাসহ সবাই কিন্তু মেলায় বড়দের সঙ্গে যাবে। সাহস করে আবার একাকি মেলার পথ ধরো না। মেলার ভিড়ে ভুলে কেউ বাবা-মা কিংবা ভাইয়া-আপুদের হাত ছেড়ে যদি হারিয়ে যাও, তাতে চিন্তার কিছু নেই। তোমরা তো অনেক বুদ্ধিমান। হারিয়ে যাওয়ার পর বুদ্ধি করে সোজা মেলার তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে হাজির হবে। তারপর সেখানে যে লোকটা মাইক্রোফোন হাতে বকবক করে, তার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বলবে, ‘আমি অমুক (এখানে নিজের নামটাই বলবে!), আমি ঠিকই আছি কিন্তু আমার আব্বুটা হারিয়ে গেছে! আব্বু তুমি যেখানে থাকো, সোজা তথ্যকেন্দ্রে চলে আসো।’
আর শোনো, মেলায় মাস্ক পরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি ইচ্ছে না হয়; পুরো মেলা ঘোরার দরকার নেই। তোমাদের জন্য মেলায় আলাদা কর্নার তো আছেই। সেখানেই পেয়ে যাবে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই। আজকের মতো প্রতি শনি এবং শুক্রবার কেবল তোমাদের জন্যই! মানে মেলায় প্রতি শুক্র এবং শনিবার থাকবে শিশুপ্রহর। বেলা ১১টার মধ্যে বড় কাউকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় চলে যাবে। মেলা থেকে কেনা তোমাদের প্রিয় লেখকদের বই পড়ে আমাদের জানিও কেমন লাগলো। আমরা নিয়মিত তোমাদের খোঁজ দেবো প্রিয় লেখকের সেরা বইয়ের। চোখ রেখো ঘাসফড়িং-এ! n
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ